জয় বড়ুয়া, রামু:
কক্সবাজারের রামু উপজেলার রামু কলেজে সার্বজনীন শ্রী শ্রী বাণী অর্চনা ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালিত হয়েছে। প্রথম বারের মত কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্র ছাত্রী সার্বজনীন শ্রী শ্রী বাণী অর্চনার আয়োজন করেন বলে জানা যায়।
অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি আলোকসজ্জা প্রভৃতি।
পূজা পরিচালনা করেন, রামু কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত শ্রী সজল ব্রাক্ষণ চৌধুরী।
বিকেলে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৩ টায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রামু কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল হক। বক্তব্য রাখেন, বাবুল শর্মা, তপন মল্লিক, তাপস মল্লিক, বিনয় কৃষ্ণ ধর, সাংবাদিক অর্পণ বড়ুয়া, সঞ্জয় কুমার দাশ, প্রদীপ ভট্রাচার্য, প্রবীর বড়ুয়া, সেতু দাশ প্রমূখ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বাসু রাম দে।
উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন অদিতি বড়ুয়া, মোঃ মিজান এবং নন্দিতা দেবী ইমা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন রুবেল কান্তি দে।

সভায় প্রধান অতিথি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পুণ্যভূমি রামু। তাই রামু কলেজে সকল ধর্মের ধর্মীয় উৎসব পালনের সুযোগ থাকবে। সবাইকে মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যার যার ধর্ম পালন করতে হবে’। এই ঐতিহ্য বাংলাদেশ এবং বাঙ্গালীর আছে’।
আয়োজক কমিঠির সভাপতি পার্থ নাথ দে জানান, ‘প্রথম বারের মত রামু কলেজে বিদ্যামাতা সরস্বতী পূজার আয়োজন করতে গিয়ে যতটুকু কষ্ট হবে বলে ভেবেছিলাম ততটুকু হয়নি। সবার আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি’।
পূজায় আসা অনিতা চৌধুরী, সেতু দাশ, পম্পি দে এবং মনি ধরের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা জানান, দেবী শ্রী শ্রী সরস্বতী হলেন সত্য, ন্যায় ও জ্ঞানালোকের প্রতীক। বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে কল্যাণময়ী দেবীর চরণে প্রণতি জানান তারা।
এদিকে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, পূজায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। শান্তি-শৃংখলার মধ্য দিয়ে পূজা সম্পন্ন করা হয়েছে।