গিয়াস উদ্দিন ভুলু:
টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাহাড় গুলো দখল করে নিয়েছে রোহিঙ্গারা। তাদেরকে দখল দিয়ে বসবাস করতে সাহয্য করছে চিহ্নিত ভূমিগ্রাসীরা।
অনুসন্ধান করে দেখা যায়, টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড় গুলোতে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা ও বসত ভিটা বিক্রি করে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শতাধিক স্থানীয় হতদরিদ্র পরিবার।
সরেজমিনে গিয়ে আরো দেখা যায়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা পাহাড় গুলো দিনের পর দিন গাছ পালা উজাড় করে বেদখল করে নিচ্ছে ভূমি দস্যুরা। এই ভূমি গ্রাসীরা সুযোগ বুজে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে বসতি স্থাপন করে দিচ্ছে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদেরকে।
বর্তমানে এই অবৈধ রোহিঙ্গারা পাহাড়ে বসবাস স্থাপন করে দিনের পর দিন ধ্বংস করছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা বনজ সম্পদ। পাহাড় গুলো ঘুরে আরো দেখা যায়, এক সপ্তাহ ধরে লাগাতার বৃষ্টির মাঝেও এই সমস্ত রোহিঙ্গারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের বসবাস অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে এলাকাবাসী আশংকা করছেন এই প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও রোহিঙ্গারা যেভাবে ঝুঁকিপুর্ণভাবে বসবাস করছে তারা যদি সরে না যায় যে কোন মূহূর্তে বড় ধরনের প্রাণহানির আশংকা রয়েছে।
স্থানীয়রা অভিমত প্রকাশ করে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সঠিক নজরধারী না থাকার অভাবে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা দিনের পর দিন ভূমি দস্যুদের মোটা অংকের টাকা দিয়ে অবৈধভাবে বসবাস চালিয়ে বেদখল করে নিচ্ছে পাহাড় গুলো।
সরেজমিনের চিত্র খুঁজে আরো দেখা যায়, যে সমস্ত পাহাড়ে রোহিঙ্গারা বসবাস করছে সে পাহাড় গুলো হচ্ছে, উপজেলা পরিষদসংলগ্ন ফকিরা গুনা, ধুমপেরাং বিল,গিলাতলি, বৈদ্য ঘোনা, নাজিরঘোনা, শিয়াইল্যার ঘোনা, পল্লানপাড়া, নাইট্যংপাড়া, কেরুনতলি, বরইতলি, ব্যাটালিয়ন সংলগ্ন মাঠপাড়া, জাহালিয়াপাড়া, রোজার ঘোনা, হ্নীলা এলাকার রঙ্গিখালী, উলুচামারী, লেচুয়া প্রাং, পানখালী, উত্তর সিকদারপাড়া, রোজার ঘোনা, মিনাবাজার, রক্ষ্যইম, লম্বা ঘোনা, দৈঘ্যাকাটা, আমতলি, নোয়াখালী, কচ্চপিয়া, বড় ডেইল, চাকমাপাড়া, হলবনিয়া, আছারবনিয়া ও শামলাপুর এলাকায় পাহাড়ের অবস্থানরত পরিবারগুলোতেও টিক একই অবস্থা বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের বেশ কয়েকজন দাবী করে আরো জানান, টেকনাফ উপজেলার পাহাড় গুলোতে বসবাসরত শতকরা ৮০%লোক হচ্ছে রোহিঙ্গা। আবার এই রোহিঙ্গারা সুযোগ বুজে অবৈধভাবে পাহাড়ের গাছ গুলো নিধন করে যাচ্ছে দিনের পর দিন এই রোহিঙ্গারা খুব দাপটের সাথে তাদেরকে টেকনাফের স্থায়ী বাসিন্দা বলে দাবি করে আসছে।
এ ব্যপারে টেকনাফ উপজেলা বনকর্মকর্তা সরওয়ার আলম বলেন , টেকনাফ পাহাড় গুলোতে অবৈধ দখল নিয়ে যে সমস্ত রোহিঙ্গারা বসবাস করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে পর্যায়ক্রমে তাদেরকে সরিয়ে দখল মুক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।