গিয়াস উদ্দিন ভুলু:
টেকনাফের চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, এই ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ঈদকে সামনে রেখে বেশি টাকার মুনাফার আশায় মিয়ানমার নিয়ে আসছে লক্ষ লক্ষ ইয়াবা।
সেই সুত্র ধরে আরো জানা যায়, মিয়ানমার মরণ নেশা ইয়াবা এখন বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার পথে পথে। গতকাল ভোররাত থেকে বিজিবি ও কোষ্টগার্ডের সদস্যদের বিশেষ অভিযানে আবারও ১ লক্ষ ৩২ হাজার মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এই সময় ইয়াবা পাচারকারিরা বিজিবি ও কোষ্টগার্ড সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সুকৌশলে পালিয়ে যায়।
বিজিবি সুত্রে জানা যায়, ১৮ জুন ভোররাত ১টার দিকে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ নেতেৃত্বে মিয়ানমার হতে আসা ইয়াবার বড় চালানের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া বিওপির বিশেষ টহল দল নিয়ে নাফনদীতে অভিযানে যায়। এসময় মিয়ানমার থেকে কয়েকজন লোক নৌকা নিয়ে বাংলাদেশ জলসীমায় জইল্যাদ্বীপ এলাকায় প্রবেশ করার সময় বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারিরা নৌকা দিয়ে সুকৌশলে পালিয়ে যায়। এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
পাচারকারিরা পালিয়ে যাবার পর ঘটনাস্থল থেকে তল্লাশী চালিয়ে ১০টি ইয়াবার পুটলা উদ্ধার করা হয়। যা গণনা করে ১লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
অপর দিকে টেকনাফ কোষ্টগার্ডের ষ্টেশন কমান্ডা লে: নাফিউল রহমান আমাদের রামু ডটকমকে জানান, তার নেতেৃত্বে কোষ্টগার্ড সদস্যদের একটি দল ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদ পেয়ে টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন ১৪ নং ব্রীজ এলাকায় অভিযানে নামে এই সময় পাচারকারিরা হঠাৎ করে জঙ্গলের ভিতর থেকে অতর্কিত ভাবে কোষ্টগার্ড সদস্যদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ওই সময় পাচারকারিদের ধরতে কোষ্টগার্ড সদস্যরা ধাওয়া করলে তারা সুকৌশলে পালিয়ে যায়। তার পর ঘটনাস্থলে তল্লাশী করে পাচারকারিদের ফেলে যাওয়া একটি কাটুন উদ্ধার করে। এর ভিতর থেকে ৩২ হাজার মালিকবিহীন ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৮ জুন বেলা ১১টার দিকে টেকনাফ কোষ্টগার্ড সদস্যরা টেকনাফ থানায় অজ্ঞাত নামা বেশ কয়েকজনের নামে একটি সাধারণ ডায়েরী করে যার নং ৮২৮/১৬।
এদিকে উদ্ধাকৃত ৩২ হাজার মালিকবিহীন ইয়াবা টেকনাফ উপজেলায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিকট হস্তাস্তর করা হয় বলে বিজিবি সূত্র জানায়।