আমাদের রামু রিপোর্ট:
প্রতিটি সবল মুসলমানের জন্য রমজান মাসের প্রতিদিন রোজা রাখা ফরজ। আর এই ফরজ কার্য পালন করার ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য সাহরি ও ইফতারে খাবার দাবারে সচেনতা জরুরি। তাই সাহরি ও ইফতারের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন।
* ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি অল্প অল্প করে খেলে সারাদিন পিপাসায় কাতর হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
* ইফতারের তেলে ভাজা খাবার বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। তেল মসলায় ভাজা খাবার দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
* এ ছাড়া সাহরি ও ইফতারে অধিক আমিষ, ভাজাপোড়া এবং শাকসবজির অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। শরীরে পানির অভাবেও এমনটা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা লাগতে পারে। তাই ইফতারি থেকে সাহরি পর্যন্ত একটু পর পর প্রচুর পানি পান করুন। খাবারের তালিকায় আমিষের পরিমাণ কমিয়ে অধিক আঁশযুক্ত খাবার রাখুন। আর যারা আগে থেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন ইফতারে ইশবগুলের ভুসি খেতে পারেন ও প্রতি বেলার খাবারে আশঁযুক্ত খাবার বেশি করে খান।
* গ্যাসের সমস্যা থাকলে ইফতার শেষে আধা ইঞ্চি পরিমাণ একটা টুকরো কাঁচা আদা চিবিয়ে খান।
* যদি ইফতার ও রাতের খাবার আলাদা খান তাহলে অবশ্যই রাত ১০টার মধ্যে সেরে নিন। কারণ খাবার হজমে ৪-৬ ঘণ্টা সময় লাগে।
* ইফতারে প্রথমে খেজুর, স্যুপ, ফল, সালাদ ইত্যাদি খেয়ে নামাজের পরে অন্য খাবার খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
* ইফতারের পর রাতে ঘুমের আগে কিছু খেতে চাইলে ভারী খাবার না খেয়ে হাল্কা খাবার খেতে পারেন। যেমন ফল বা টকদই।
* অনেকে সাহরি ও ইফতারে নানা রকম কার্বোনেটেড ও চিনিযুক্ত কোমল পানীয় পান করেন। এসব কার্বোনেটেড ও চিনিযুক্ত কোমল পানীয় এবং এনার্জি ড্রিংকস শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিয়ে শরীরে পানি শূণ্যতা তৈরি করে। তাই এসব ড্রিংক পরিহার করা উচিত। এছাড়া কফি ও চায়ের ডাই-ইউরেটিক ইফেক্টের জন্য ইফতার ও সাহরিতে চা-কফিও পরিহার করা উচিত।
* রোজায় সারাদিন সুস্থ থাকলে সাহরিতে এমন খাবার খেতে হবে যেগুলো ধীরে হজম হয়। যেমন- ভাত, রুটি ইত্যাদি। সাহরিতে বেশি মশলা ও লবণযুক্ত খাবার রাখবেন না। এগুলো রোজা রাখা অবস্থায় পিপাসা বাড়ায়। সাহরিতে ফল বা সবজিও খেতে পারেন। এতে থাকা জলীয় অংশ বেশিক্ষণ পাকস্থলীতে থাকে।
* এই গরমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে তৃ্ষ্ণা বেশি লাগে এবং দেহে পানি শূণ্যতা তৈরি হয়। তৃষ্ণা ও পানি শূণ্যতা রোধের জন্য ইফতারে ফলের রস, ইসবগুলের ভূষি, তোকমা, বেল, দুধ, দই, কাগজি লেবু ইত্যাদির শরবত পান করতে পারেন। ডাবের পানিও শরবত হিসেবে পান করতে পারেন।
* রোজায় দীর্ঘ সময় পানি পান করা যায় না বলে মুখগহবর শুষ্ক থাকে, ফলে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যাংশ মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতে পারে। এটি প্রতিরোধের জন্য ইফতার ও সাহরি খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করতে হবে। প্রতিবার ওজু করার সময় পানি দিয়ে ভালোভাবে কলকুচি করতে হবে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট