ঈদগড় প্রতিনিধি:
রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের বহুল আলোচিত চিকিৎসক মহি উদ্দিনকে বাড়িতে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে। রবিবার (১৯ জুন) কক্সবাজার আদালতে নিহত আওয়ামীলীগ নেতা চিকিৎসক মহি উদ্দিনের স্ত্রী জাহেদা বেগম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ১৩ জনকে আসামী করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রধান আসামী করা হয়েছে ঈদগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা ফিরোজ আহমদ ভূট্টোকে।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভূক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অফিসার ইনচার্জ রামু থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৫ জানুয়ারি একই এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়া স্কুল শিক্ষক নুরুচ্ছাফার বাবা আবদুল মাবুদ জানিয়েছেন, এ মামলায় তার পরিবারের ৮জন সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন মহিলাও রয়েছেন।
তিনি (আবদুল মাবুদ) আরো জানান, নুরুচ্ছাফা হত্যা মামলায় নিহত মহি উদ্দিনের স্ত্রী জাহেদা বেগম, পুত্র সাখাওয়াত হোসেন, ভাই নাছির উদ্দিন, সিরাজ উদ্দিন ফেরদাউস ও আব্দু রশিদ আসামী ছিলেন। পুত্র নুরুচ্ছাফা হত্যাকান্ড থেকে রেহায় পাওয়া বা ধামাচাপা দেয়ার জন্য নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হয়রানির জন্য এ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে এলাকাবাসী দুটি পাল্টাপাল্টি হত্যাকান্ড নিয়ে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে এলাকায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি এসব হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
রামু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধরেআমাদের রামু ডটকমকে জানিয়েছেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ মামলা করেননি। আদালতে দায়েরকৃত মামলার কপি এখনো তিনি পাননি। তবে ঘটনার পর এ ঘটনায় পুলিশ ওই এলাকার প্রবাসী আছাদুজ্জামানের স্ত্রী দেলোয়ারা বেগমকে (৪২) আটক করেছিলো।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৫ জুন) দিবাগত রাত দুইটায় রামুর ঈদগড় ইউনিয়নের শরীফপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে মহি উদ্দিনকে দূর্বৃত্তরা গুলি করে। পরিদিন বৃগষ্পতিবার (১৬ জুন) সকালে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় পথিমধ্যে মারা যান।
মহিউদ্দিন (৪৮) পেশায় পল্লী চিকৎসক এবং ঈদগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। তিনি স্থানীয় ফয়েজ আহমদ মিয়াজীর ছেলে।