হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
কক্সবাজারের রামু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন দুজন প্রভাবশালী নেতা। তাঁরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলম (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল (আনারস)।
মাঠ পর্যায়ের খবর হচ্ছে- নানা কূটকৌশল ও জনপ্রিয়তায় কাজলকে ছাড়িয়ে গেছেন রিয়াজ উল। আগামী ২৪ মার্চ রামু উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ১ লাখ ৫৮ হাজার ভোটার।
উপজেলার এগার ইউনিয়নের প্রত্যন্ত ২২টি গ্রামের সাধারণ মানুষ বলছেন- নৌকা প্রতীক নিয়ে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও সাংসদ কমল নির্বাচিত হয়েছেন। এই প্রতীক বাংলাদেশে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। যার কারণে দ্রæত গতিতে অজপাড়া গাঁয়েও উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় রামুর মানুষ আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে রিয়াজ উল আলমকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।
কারণ হিসাবে সাধারণ মানুষ আরও বলছেন- রিয়াজ উল আলম একজন ভদ্র, মার্জিত, শিক্ষিত ও নির্লোভ যুবনেতা। তাঁর আমলে রামুতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিনামূল্যে নির্যাতিতরা পেয়েছেন ন্যায় বিচার। বড় বড় বন্যায় সাংসদ কমলের ভ্যানগার্ড হয়ে ছুটে গেছেন কবলিত মানুষের দুয়ারে দুয়ারে।
গর্জনিয়ার মাঝিরকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এসএম হুমায়ুন কবির বলেন- শিক্ষাবান্ধব উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে জেলায় রিয়াজ উল আলমের সুখ্যাতি রয়েছে। তাঁর মতো একজন দক্ষ পরিচালককে এতদঅঞ্চলের মানুষ হারাতে চায় না।
গর্জনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি হাফেজ আহমদ ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা এম সেলিম জানিয়েছেন- ‘রিয়াজ উল আলম এবং সোহেল সরওয়ার কাজলের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান রয়েছে। কাজল চেয়ারম্যান থাকাকালিন অস্ত্র উঁচিয়ে জমি দখল, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা লুটপাট, রামুর বৌদ্ধ মন্দির হামলা নিয়ে বাণিজ্যের কারণে তাঁর জনপ্রিয়তা তলানীতে গেছে। যার প্রমাণ হিসাবে বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি জামানত হারিয়েছেন।’
গর্জনিয়া ইউনিয়নের সামাজিক উদ্যোক্তা শাহারীয়ার ওয়াহেদ চৌধুরী রাসেল বলছেন- ‘রামুতে চেয়ারম্যান পদে ফ্যাক্টর এখন ‘নৌকা’ প্রতীক। দেশরতœ শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলের তথা উন্নয়নের প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করছে বিধায়- রিয়াজ উল আলম অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। এলাকাভিত্তিক জনপ্রিয় নেতাকর্মীরাও রিয়াজ উল আলমের পক্ষে কাজ করছেন।’
রামু উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া জানান- বিগত উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর, চার বছর রামুকে শিক্ষার নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে কাজ করেছেন রিয়াজ উল। এই কারণে জেলার দুই দুই বার তিনি শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। রামুতে অতীতে কোন চেয়ারম্যান রাজস্ব খাতের টাকা জনগনের উপকারে খরচ করেনি। একমাত্র রিয়াজ উল আলম সেই রাজস্ব খাতের টাকায় প্রতিটি ইউনিয়নে আরসিসি সড়ক থেকে আরম্ভ করে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন। সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমলের নেতৃত্বে বিদ্যুৎ বিহীন এলাকায় বিদ্যুতায়ন ও স্থাপন করেছেন বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এদিকে সোহেল সরওয়ার কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি। এদিকে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রিয়াজ উল আলম বলেন- ‘স্বপ্নের প্রতীক, বঙ্গবন্ধু- শেখ হাসিনা ও সাংসদ কমলের প্রতীক নৌকার প্রতি সম্মান জানিয়ে রামুবাসী আমাকে আবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন ইনশাআল্লাহ। পুনরায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে রামুকে মডেল উপজেলায় রূপান্তর করবো।’