হাবিবুর রহমান সোহেলঃ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া বাকঁখালী খাল, দৌছড়ি খাল ও জামছড়ি খালের বালি মহাল থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রাক বালি উত্তোলন অব্যহত রেখেছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। যার কারনে সরকার হারাচ্ছে লাখ টাকার রাজস্ব। আর ফসলী জমি যাচ্ছে নদী গর্ভে।
সুত্র জানিয়েছে, গত ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ কক্সবাজার রাজস্ব শাখায় উল্লেখিত বালি মহাল টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হয়। আর সে ইজারা নিয়েছিল গর্জনিয়া সিকদার পাড়ার রাজামিয়ার ছেলে আবদুল্লাহ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইজারাদার আবদুল্লাহ ও তার লোকজন মিলে ওই ইজারা পাওয়ার পর থেকে নিয়মিত শতাধিক গাড়ি দিয়ে বালির মহাল থেকে সারা বছর নিয়মিত বালি উত্তোলন করলেও উল্লেখিত বালির মহালে কোন প্রকার বালি উত্তোলন ওই আবদুল্লাহ করে নাই বলে মিথ্যা তথ্য ও ইজারার কাগজ পত্র তাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বুঝিয়ে দেননি বলে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। যার নং ৩১৫০/ ১৯ ইং। এতে আদালত শুনানি শেষে চলতি বছরের ওই বালি মহালের ইজারাসহ সমস্ত কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে আদেশসহ রোল দেন। অথচ সরজমিনে দেখা গেছে ঘটনার উল্টো চিত্র। আজ ৭ এপ্রিল রবিবার দুপুরে একদল সাংবাদিক কচ্ছপিয়া গর্জনিয়ার ওই সব বালি মহালে ঘুরে দেখা গেছে, শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাড়ি দিয়ে দায় সারাভাবে বালু পাচার করছে।
জানতে চাইলে গাড়ি চালক ও শ্রমিকরা জানান, ইজারাদার আবদুল্লাহ ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা নাছির উদ্দিন সোহেল সিকদার মিলে লোকজন দিয়ে ওই সব বালি পাচার করছেন। গর্জনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরিদ আহম্মদ চৌধুরী জানান, আবদুল্লাহ ও সোহেল মিলে সারা বছর ওই সব বালি পাচার করে আসছে অবৈধভাবে। তাছাড়া উচ্চ আদালতকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বালি মহলের কার্যক্রম স্থগিত করে, পুনরায় ওই আদালতে আদেশকেও অমান্য করে বালি উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান, আওয়ামীলিগের এই নেতা। তিনি এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এগিয়ে আসার আহবান জানান।
কচ্ছপিয়া শ্রমিকলীগের সভাপতি আবু তালেব সিকদার জানান, আবদুল্লাহ ও সোহেল মিলে সারা বছর ওই সব বালি পাচার করে আসছে অবৈধভাবে। তারা উচ্চ আদালতকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বালি মহলের কার্যক্রম স্থগিত করে, পুনরায় ওই আদালতের আদেশকেও অমান্য করে বালি উত্তোলন অব্যহত রেখেছেন। তাছাড়া ওই ইজারাদার আবদুল্লাহ সোহেল সিকদার ব্যবহার করে ওই সব অবৈধ ব্যবসা করে আসছেন বলে জানান তিনি। তিনি এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এগিয়ে আসার আহবান জানান।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লুৎফুর রহমান আমাদের রামু ডটকম কে জানান, তিনি এখনোও কোনো আদেশ পাননি। তবে তিনি খোজঁ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।