অনলাইন ডেস্কঃ
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের (এমপিএফ) মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৬ এপ্রিল মিয়ানমারে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের এ সম্মেলন শুরু হলেও সোমবার নেপিদোতে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সমন্বিত যৌথ টহলের ব্যাপারে আলেচনা হয়। বিজিবি সূত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
যৌথ টহল ছাড়াও বৈঠকে যেসব বিষয় নিয়ে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে ছিল- ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ, সীমান্তে সন্ত্রাস মোকাবেলা, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম বন্ধ, সীমান্তে গুলিবর্ষণ না করা এবং মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কারাগারে সাজাভোগ শেষে উভয় দেশের নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন। এর বাইরে আলোচনায় ছিল সীমান্ত নিরাপত্তায় পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং আইন প্রয়োগের অংশ হিসেবে ব্যাটালিয়ন ও রিজিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত পতাকা বৈঠক; বর্ডার লিয়াজোঁ অফিসের (বিএলও) বৈঠক আয়োজন ও যথাসময়ে সীমান্ত নিরাপত্তা সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদান করা।
বৈঠকে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এবং এমপিএফের চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ ও পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থানের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন। মিয়ানমার প্রতিনিধি দলে এমপিএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, মংডু জেলা প্রশাসক এবং ইমিগ্রেশন বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে বিজিবি মহাপরিচালক সোমবার মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মেজর জেনারেল অং থু, দেশটির পুলিশ ফোর্সের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল অং উইন উর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্নিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। আজ বুধবার বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।