এ.এম হোবাইব সজীব:
প্রচন্ড গরম, যানজট তো আছেই। তবে এত কোনে ছেদ পড়েনি ঈদের কেনাকাটায়। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততোই জমছে ঈদ বাজার। মুসলমাস সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কক্সবাজারের চকরিয়ার পৌর শহরের চিরিংগা বিপনী বিতান গুলোতে এখন নতুন জামা-কাপড় কেনাকাটার উপচে পড়ছে ভিড়।
আর ঈদ বাজারে ক্রেতার সংখ্যা যত বাড়ছে ততোই ক্রেতাদের কাছ থেকে গলাকাটা দাম রাখছে অসাধু ব্যবসায়ারী। ক্ষেত্র বিশেষে নকল ও ভেজাল পণ্য ধরিয়ে দিয়েও অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। এক প্রকার ক্রেতারা জিম্মি হয়ে আছে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে। এসব বিষয়ে দেখার কেউ নেই। এতে করে ঈদ বাজারে ঠকছেন ক্রেতারা।
চিরিংগা পৌর শহরের নিউ মাকেট, আনোয়ারা শপিং, মসজিদ মাকের্ট, রূপালী শপিং কমপ্লেক্স, সুপার মাকের্ট, নিউ সুপার মাকের্ট, চিরিংগা সমবায় মাকের্ট, ওয়েস্টান প্লাজা, আবদুল মতলব শপিং সেন্টার, চকরিয়া সিটি সেন্টার, রওশন মাকের্ট ও হকার্স মাকের্টেসহ বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় প্রতিটি দোকানেই কাপড়ের ৪/৫ গুণ বেশি দাম হাঁকা হচ্ছে।
সেখানেও অর্ধেকের বেশি লাভ করছেন বিক্রেতারা। এক্ষেত্রে দোকানিদের কাপড় ডাকাতি। ঈদের বাজারে ক্রেতাদের জিম্মি কর মিথ্যা কথা বলে কয়েক গুণ বেশি দাম নিচ্ছেন। আর সেখানে এসব তদারকির কোন ব্যবস্থা নেই। এছাড়া ও ফিক্সড প্রাউজের দোকানগুলোতেও দ্বিগুণ দাম নেয়া হচ্ছে। বদরখালী থেকে আসা কাইছার নামের কে ক্রেতা জানান, কাপড় ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দাম হাঁকছেন। যাকে যেমন পারছেন ঠকিয়ে দিচ্ছেন। একই মানের কাপড় একেক দোকানে একেক ধরনের দাম নেওয়া হচ্ছে। যার কারনে ক্রেতারা ঠকছেন বলে মনে করেন তিনি।
ক্রেতারা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে কাপড়ের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হলেও চকরিয়ায় তা হচ্ছে না। যার কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা দ্বিগুন উৎসাহে ভোক্তাদের পকেট কাটছেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চকরিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা মোঃ সাহেদুল ইসলামেআমাদের রামু ডটকমকে বলেন, বেশি দামে কাপড় বিক্রি করে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছেন বলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে। দ্রুত এসব কাপড়ের দোকানে অভিযান চালানো হবে।