ক্রীড়া ডেস্কঃ
নিজেদের মাঠে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিল লিভারপুল। ফিরতি দেখায় তিন ফরোয়ার্ড সাদিও মানে, মোহামেদ সালাহ ও রবের্ত ফিরমিনোর গোলের পর ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইকও পেলেন জালের দেখা। বড় ব্যবধানে জিতে সেরা চারে উঠেছে প্রতিযোগিতার ২০০৫ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
বুধবার রাতে কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগে ৪-১ গোলে জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-১ অগ্রগামিতায় সেরা চারে উঠল লিভারপুল। অ্যানফিল্ডে প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতেছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
সেমি-ফাইনালে লিভারপুলের প্রতিপক্ষ বার্সেলোনা। দুই লেগ মিলিয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে সেরা চারে উঠেছে এরনেস্তো ভালভেরদের দল।
শুরু থেকে লিভারপুলের রক্ষণে চাপ দিতে থাকে পোর্তো। কিন্তু প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের গোলমুখে ছয়টি শট নিলেও কাঙিক্ষত গোলের পায়নি দলটি।
খেলার ধারার বিপরীতে ২৬তম মিনিটে এগিয়ে যায় লিভারপুল। ডি-বক্সের ভেতর থেকে মোহামেদ সালাহর বাড়ানো বল শেষ মুহূর্তে পা বাড়িয়ে জালে জড়িয়ে দেন মানে। সেনেগালের এই ফরোয়ার্ড অফসাইডে ছিলেন কি না, ভিএআরের সাহায্যে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।
৫৭তম মিনিটে মানের ক্রসে সালাহর হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি। পরের মিনিটে পোর্তোর এক্তর এররেরার শটও খুঁজে পায়নি ঠিকানা।
৬৫তম মিনিটে প্রতিআক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে লিভারপুল। ডান দিক থেকে ট্রেন্ট-আলেক্সান্ডার আরনল্ডের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ইকের কাসিয়াসকে সহজেই পরাস্ত করেন মিশরের ফরোয়ার্ড সালাহ।
চার মিনিট পর ব্রাজিলিয়ান এদের মিলিতাওয়ের গোলে ব্যবধান কমায় পোর্তো। তবে ৭৭তম মিনিটে জর্ডান হেন্ডারসনের ক্রসে হেডে ফিরমিনো জাল খুঁজে নিলে সহজ জয়ের পথে ছুটতে থাকে লিভারপুল। প্রথম লেগেও গোল করেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। আর শেষ দিকে ভার্জিল ফন ডাইকের লক্ষ্যভেদে দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
এ জয়ে পোর্তোর ওপর আধিপত্য ধরে রাখল লিভারপুল। আগের সাত ম্যাচেও পর্তুগালের দলটির কাছে অজেয় ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি। সাত ম্যাচের চারটিতে জিতেছিল তারা। বাকি তিনটি হয়েছিল ড্র।