মানিক বৈরাগীঃ
বাংলাদেশ প্রেস ইনিস্টিউট অব বাংলাদেশের সদ্য মনোনিত মহাপরিচালক কবি সাংবাদিক সাবেক ডাকসু ছাত্রনেতা জাফর ওয়াজেদ কে প্রথমেই প্রাণঢালা অভিনন্দন ভালোবাসা শ্রদ্ধা। জাফর ওয়াজেদ প্রথমেই ক’কথা না লিখলেই নয়। ১৯৭৫র পর অন্ধকারাচ্ছন্ন বাংলাদেশ,বুটজুতার সামরিক শাসনের জাতাকলে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তপ্রাণ ছাত্ররা ও প্রগতি চর্চা নিষিদ্ধ। সেই চরম দুর্দিনের সামরিক জিয়ার রক্তচক্ষুর কালো চশমার নির্দেশ কে উপেক্ষা করে ডাকসুতে যে ক’জন ছাত্রনেতা মুজিববাদী ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে সর্বাধিক ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন তার মধ্যে কবি জাফর ওয়াজেদ অন্যতম। ডাকসুর মান্নারা যখন জিয়ার কাছে হাজিরা দিতে সামরিক ভবনে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তার মধ্যে এই একমাত্র কবি জাফর ওয়াজেদ না গিয়ে ডাকসুর ঐতিহ্য ও অহংকার ধরে রেখেছিলেন কবি জাফর ওয়াজেদ। জাফর ওয়াজেদের প্যানেলের পরাজিত ভিপি প্রার্থী আজকের বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ এর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।কাদের ভাই দুই ভার ভোট করেছিলেন দুই বারেই পরাজিত হয়েছিলেন। একি প্যানেলে জাফর ওয়াজেদ দুইবার বিজয়ী হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ওয়াজেদ ১৯৯৬সনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী হলে জাফর ওয়াজেদ কে প্রেস সচিবের প্রস্তাব করা হলে তিনি নেননি।কারন তিনি তখোন মনে করেছিলেন এই ভার তাঁর বহন উপযুক্ত নয়।তাই বলে মুজিবাদর্শ ছেড়ে দেন নি।নেত্রীর প্রতি অবিচল আস্থার সহিত আওয়ামীলীগের দুর্দিন সুদিন সবসময় আওয়ামীলীগ, পিতা মুজিব,শেখ হাসিনার কলম সৈনিক হিসাবে পাশে ছিলেন।
জাফর ওয়াজেদ আওয়ামীলীগ তথা বাংলাদেশ, মহান মুক্তিযুদ্ধের উইকিপিডিয়া বলাহয়।এই নির্বিক কলম সৈনিক কে এই আওয়ামীলীগের সময়েই বিনা কারনে অনুপ্রবেশকারীদের দারা সাইবার আইনেও মামলা করা করাহয়।তিনি অমিত সাহসে মোকাবেলা করেছেন। জাফর ওয়াজেদদের হাতে প্রতিষ্ঠিত আজকের বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়ন এ কোন দিন বড় কোন পদ পদবি চান নি।নির্বাচন ও করেননি। গেলোবার ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এর নির্বাচনে সভাপতির পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিলে আওয়ামীলীগের সুধিনের মধুখোর জামাত বামাত থেকে আগত বিভিন্ন এজেন্সির লোকেরা তাকে হাঙ্গামা ষড়যন্ত্রের মধ্যদিয়ে পরাজিত করেদেয়।
সেই সব ষড়যন্ত্রের মুল হোতা গোলাম আজমের নাগরিকত্ব দাবিকারি ও স্বাক্ষর ও মোনাজাত কারি ইকবাল সোবহান চৌধুরী। যিনি একাত্তরে নিরাপদে অবজারভার পত্রিকায় পাকিস্তানিদের সেবাদান করেছিলেন। আর তথাকথিত ময়মনসিংহের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ময়মনসিংহে থাকাকালিন মুসলিম লীগের পত্রিকা নওরোজ পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন, ঢাকায় এসে বহু বিতর্কের হোতা মনজুরুল আহসান বুলবুল।
এরা এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কবি জাফর ওয়াজেদ কে সিলেকশন করার পরও প্রায় এই নিয়োগ পত্র আটকাতে কম কসরত করেননি।
জাফর ওয়াজেদ ওসবে নিশ্চুপ ও নেত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থায় অবিচল ছিলেন।তাকে মহাপরিচালক হওয়ার বাসনা জাগিয়েছিলো আওয়ামীলীগের চরম দুর্দিনের নির্ভিক কলম সৈনিকেরা।ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাকালিন কলম সৈনিকেরা যখন দেখলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী এই বাম গণতান্ত্রিক সাংবাদিক ইউনিয়ন টি ক্রমাগত মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির কাছে বিলিন হয়ে যাচ্ছে।একে অবশ্যই তার মুক্তিযুদ্ধের চার মুলনীতির ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলে একমাত্র উপায় হচ্ছে এই নির্লোভ নির্লিপ্ত সাহসি উইকিপিডিয়া জাফর ওয়াজেদের বিকল্প নাই।বাঙ্গালি এমন যে যাকেই লঙ্কায় পাঠান বা বসান সেই রাবনে পরিনত হয়।
আমাদের একান্ত বিশ্বাস যিনি এত দিন ক্ষমতার দোরগোড়ায় অবস্থান অতিত রাজনৈতিক অবস্থান সুদৃঢ় থাকার পর ও কোন দিন ক্ষমতার পদপদবির প্রতি লালায়িত ছিলেন না তখন আলমগীর ভাইয়ের স্থলাভিষিক্ত একমাত্র জাফর ওয়াজেদ কেই মানায়।বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাও তাই মনে করেছেন। যেই সিদ্ধান্ত সেই কাজ তাহের উদ্দীন ঠাকুরদের দৌঁড়ঝাপে বিলম্ব হলেও গতকাল মহামান্য রাষ্ট্রপতি জাফর ওয়াজেদের মহাপরিচালক পদে নিয়োগদানে স্বাক্ষর করেছেন।
আমি আশা করছি এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খাটি সোনা বাছাই করতে ভুল করেন নি। বর্তমানে মিড়িয়া নৈরাজ্যের সময়ে সুন্দর ইতিবাচক ও উন্নয়ন সংবাদের প্রতি শৃংখলা ফিরবে অবশ্যই। সাথে বিগত ইউনিয়ন নেতাদের হাত ধরে যেসব মিডিয়া মোগলদের হাতধরে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের মুখোশে মুক্তযুদ্ধ বিরোধী বাংলাদেশ বিরোধী শক্তির কাছে ঘাপটি মেরে থাকা বেশ বিরোধী পরদেশি বিভিন্ন এজেন্সির লালিত বাংপাকিরা ঘাপটি মেরে তলে তলে তাহের উদ্দীন ঠাকুরের প্রেতাত্মারা দেশ ও সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত সেই সব অপরাধীদের সমুলে উৎপাটন আশাকরি চিহ্নিত হবেই। আশাকরি সরকারি বিভিন্ন মিড়িয়ায় ও একটি শৃঙ্খলা ফিরবেই ধীরে ধীরে।আপনার পাশে আছে প্রেস মন্ত্রী, প্রেসক্লাব, ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী ইউনিয়ন।
গোয়েবলসিয় গুজবের সাংবাদিকতা থেকে জাতি অবশ্যই রেহায় পাবে মুজিবাদর্শের কর্মী নগন্য কর্মী হিসাবে এই প্রত্যাশা করতেই পারি।
জয় হোক সুষ্ঠু সুন্দর উন্নয়ন ও প্রগতিশীল সাংবাদিকতার।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখকঃ মানিক বৈরাগী, কবি,নব্বইয়ের নির্যাতিত ছাত্রনেতা ও সাংবাদিক।
প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। আমাদের রামু ডটকম এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য আমাদের রামু ডটকম কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।