মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে একটি পরিণত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেখানে বাইরের কোনও সমস্যা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।মিয়ানামারের স্টেট কাউন্সিলর এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সুচি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে এক বৈঠকে মিয়ানমারের রাজধানী নেপিতো-তে বৃহস্পতিবার একথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অং সান সুচি বলেন,‘উভয় পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চান সুচি, যেখানে বাইরের কোনও অঘটন বা বৈরী বিষয় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে না ।’
শহীদুল হক বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হিসেবে মিয়ানমার গেছেন।
বাংলাদেশ মিয়ানমারের আন্তরিকতার সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায়, শেখ হাসিনার এ বার্তাটি সুচিকে পৌঁছে দিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব এম শহীদুল হক পৌঁছে দিয়েছেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর একটি চিঠি সুচির কাছে হস্তান্তর করেন, যেখানে হাসিনা সুচির প্রশংসা করে বলেছেন, ‘মিয়ানমারের নতুন সরকার গণতন্ত্র সংহত করার এবং মিয়ানমারে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ তৈরি করার প্রয়াস চালাচ্ছে।’
পররাষ্ট্রসচিব সুচিকে জানান, বাংলাদেশের আন্তরিক ইচ্ছা দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সহযোগিতার সম্পর্ক সব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বর্ননা করেন এবং সব বিষয়ে খোলামেলা এবং ব্যাপক আলোচনার ওপর জোর দেন।
শহীদুল বলেন, বাংলাদেশ সব বিষয়ে আলোচনা করে সমাধানের জন্য তৈরি আছে। এর জবাবে সুচি একই ধরনের মনোভাব ব্যক্ত করেন।
সুচি বলেন, দুদেশকেই যৌথভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা উচিৎ।
জাতিগত সমস্যা বিষয়ে তিনি বলেন মিয়ানমার সরকার রাখাইন প্রদেশে চ্যালেঞ্জ সমাধানের উপায় খুজে বের করতে বদ্ধ পরিকর এবং এ বিষয়ে নতুন সরকার কি পদক্ষেপ নিয়েছে তার বর্ণনা দেন।
পররাষ্ট্র সচিব সুচিকে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে বাংলাদেশ সফরের দাওয়াত দেন এবং সুচি তার সুবিধাজনক সময়ে সফর করতে রাজি হোন।
এরপর পররাষ্ট্র সচিব মিয়ানমারের আর্মি প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লিয়াং এর সাথে দেখা করেন এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি ইউ অং লিন এর সাথেও বৈঠক করেন।
পার্মানেন্ট সেক্রেটারি ঈঙ্গিত দেন শীঘ্রই দুই পররাষ্ট্র সচিবের মধ্যে রাজনৈতিক বৈঠক মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত হবে।
[বাংলা ট্রিবিউন]