প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
কমিউনিটি ক্লিনিক এর ১৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রামুতে বিশাল র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ এপ্রিল রবিবার সকালে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গন থেকে এক বিশাল র্যালী বের হয়ে রামুর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এর পরে হাসপাতাল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মিছবাহ উদ্দীন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালের সাবেক তত্ত¡াবধায়ক ডাঃ রতন চৌধুরী। তিনি বলেন কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে বক্তব্য রাখেন জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. হাফিজুর রহমান, ডা. মৃত্যুঞ্জয় বড়ুয়া, ডা. অলিউর রহমান, ডা. জাহিদ, সার্ভিল্যান্স মেডিকেল অফিসার ডা. উম্মে আসমা আফসারী, সহঃ স্বাস্থ্য পরিদর্শক দর্পণ বড়ুয়া, ফার্মাসিষ্ট সমর শর্মা, এমটিইপিআই আলী আকবর, কেয়ার এর প্রতিনিধি আবদুল মালেক, সাবিনা ইয়াসমিন, সিএইচসিপি নেত্রী পিংকী শর্মা, এসএম রেজাউল করিম, জাফর আলম সঞ্চালক ছিলেন দীপংকর বড়ুয়া ধীমান
প্রমুখ।
সভাশেষে কমিউনিটি ক্লিনিক এর ১৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯ পাউন্ডের বিশাল কেক কেটে অতিথি এবং সিএইচসিপিদের আপ্যায়িত করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা গ্রামে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে দেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন ইউনিয়নে সাড়ে ১৩ হাজার ৭৪৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে একনেক সভায় অনুমোদনের পর ১৯৯৮ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক প্যাকেজ বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় গিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। পরে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় গিয়ে শেখ হাসিনা আবারও কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেন।