রাজধানীর গুলশান-বনানীসহ কূটনৈতিক ও আবাসিক এলাকায় যত্রতত্র গড়ে ওঠা অবৈধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
রবিবার আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সকাল ১০টা থেকে টানা তিন ঘণ্টা ধরে চলা ওই বৈঠকে বাংলাদেশে পিস টিভি দেখানো বন্ধ এবং জুমার নামাজ নজরদারির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান, কমিটির সভাপতি ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, কূটনৈতিক এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশান ও বনানীর নিরাপত্তার বিষয়টি সবসময়ই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে সরকার। কিন্তু, সম্প্রতি গুলশান এলাকায় যে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে সেটি একটি রেস্তোরাঁর ভেতরে। রুটিন নজরদারি সত্ত্বেও সেখানে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেছিল দুর্বৃত্তরা। তাই কূটনৈতিক এলাকাটির নিরাপত্তা আরও বাড়াতে সেখান থেকে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা এবং অনুমোদনহীন শিক্ষা ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, হোটেল, রেস্তোরাঁ, হাসপাতাল ইত্যাদি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভায়।
এছাড়াও এসময় পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীকে আরও আধুনিক করে গড়ে তোলার সিদ্ধান্তের কথাও জানান তিনি।
এসময় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পাশাপাশি এসংক্রান্ত মামলাগুলোর চার্জশিট শিগগিরই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্ট মামলা রয়েছে ৩৭টি। এর মধ্যে চার্জশিট হয়েছে ১৪টি। বাকিগুলোর চার্জশিট শিগগিরই দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এ জন্য সামাজিক বিপ্লব দরকার, সবার সংশ্লিষ্টতা দরকার।
হঠাৎ যাতে জঙ্গিরা কোথাও আক্রমণ করতে না পারে সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশি পাহারা বাড়ানো হবে। ইপিজেডগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। এরপরও কেউ যদি নিরাপত্তা চায় তবে সরকার তা দিতে প্রস্তুত আছে।
বৈঠকে পিস টিভি বন্ধ করতে উপস্থিত সবাই সম্মত হয়েছেন বলেও জানান তিনি। এছাড়াও দেশের স্বার্থ বিরোধী প্রচারণা থেকে বিরত থাকার জন্য গণমাধ্যমগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।/ওএফ/টিএন/