অনলাইন ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সবাইকে আওয়ামী লীগের নৌকায় তোলার প্রয়োজন নেই। আমাদের দেখতে হবে কারা দুঃসময়ে দলের সঙ্গে ছিল, শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিল, তাদেরই নেতৃত্বে রাখতে হবে, তাদেরই নিয়ে পথ চলতে হবে।’
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকালে সচিবালয়ে ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যপরিষদ’ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শোক দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার ক্ষমতায়। সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায়, যারা অতীতে ও দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করেছে, তারাও আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায়। সবাইকে আওয়ামী লীগের নৌকায় নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, যারা বাংলাদেশ চায়নি। তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তি-এদেশি এজেন্ট এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয় চায়নি এমন আন্তর্জাতিক শক্তি।’ তিনি বলেন, ‘আজকের সময়ের দাবি হচ্ছে, জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলব ছিল তাদের বিচার করা। জাতির দাবি, শতবর্ষ পরের প্রজন্মকে সত্য জানানোর স্বার্থে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাষ্ট্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আজ জনগণের দাবি হচ্ছে, একটি কমিশন গঠন করে তাদের বিচার করা।’
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার স্বপ্নে এঁকেছিলেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালে, তখন বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের ৪২ বছর পর পর্যন্ত আমরা তা অতিক্রম করতে পারিনি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এসে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেটি অতিক্রম করতে পেরেছেন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালে যখন হত্যা করা হয়, সেই বছর ২৬ হাজার মেট্রিক টন চাল উদ্বৃত্ত ছিল। বঙ্গবন্ধু ক’দিন পরেই ঘোষণা করতেন বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠিত করে যখন একটি সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার স্বপ্ন দেখছিলেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাকে হত্যা করা হয়।’
বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে দেশ আবার এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের অগ্রগতির ঘুর্ণায়মান চাকাকে আবার ধাবমান চাকায় রূপান্তরিত করেছেন। বাংলাদেশ আজকে পৃথিবীর সামনে উন্নয়নের মহাসড়কে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এটি পৃথিবীর সামনে উদাহরণ। বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এ জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, বুদ্ধিজীবীরা আপসোস করে বলে— সব সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানব উন্নয়নসহ সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে বহুদূর এগিয়ে গেছে।’
সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউনৃ