শহিদুল ইসলাম, উখিয়া:
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কোর্টবাজার চারা বটতলী এলাকায় পিকআপ ও টমটমের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রীসহ ৭ জন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে গাড়ির হেলপারকে আটক করে উখিয়া থানায় নিয়ে আসেন। জানা যায়, রামুর খুনিয়াপালং এলাকা থেকে উখিয়া মূখী একটি যাত্রীবাহী টমটম কোর্টবাজার চারা বটতলী নামক এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে ৭ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়। পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করান।
গুরুতর আহতরা হলেন রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নের দারিয়ারদীঘি এলাকার আবদুস সালামের মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার (১৬) ও পারভীন আক্তার (১৮), হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা গ্রামের রাজিব বড়ুয়ার ছেলে বিপন বড়ুয়া (১৭), খুনিয়াপালং ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া এলাকার রশিদ আহাম্মদের মেয়ে রেশমি (১৬), তেলখোলা এলাকার দানু ড্রাইভারের মেয়ে তানিয়া (১৬), হলদিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক রুমখা গ্রামের রফিক উদ্দিনের ছেলে ইউনুছ (২৬) ও হলদিয়াপালং ক্লাস পাড়া এলাকার শফি সওদাগরের ছেলে কামাল উদ্দিন (৪৫)।
এদের মধ্যে রেশমি আক্তার ও পারভিন আক্তারের অবস্থা আশংখাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে কক্সবাজারে প্রেরণ করেন। এরা বর্তমানে কক্সবাজার ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে পরিবার সূত্রে নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও টমটম গাড়ির চালক কামাল উদ্দিন সংকটাপন্ন বলে তার নিকটাত্মীয় কমরু জানিয়েছেন। ঘটনার খবর পেয়ে উখিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মশিউর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়ির হেলপার নুরুল আমিন (১৭) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। সে পালংখালী ইউনিয়নের হাকিম পাড়া গ্রামের আবদুস শুক্কুরের ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের ৪ ছাত্রী সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হওয়ার খবর পেয়ে উখিয়া হাসপাতালে দেখতে যান কলেজ অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী। এদের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ খবর নেন।