অনলাইন ডেস্কঃ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার বিএনপি নেতাদের নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে চলমান অভিযান নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
এ সময় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে সেজন্য আপনারা বরং সরকারকে অভিনন্দন জানান এবং নিজেদের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চান।’
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সিনিয়র সিটিজেন সোসাইটি, চট্টগ্রাম নামে একটি সংগঠন বিশিষ্ট ছয় প্রবীণ নাগরিককে সংবর্ধনা দেয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সংগঠনের সভাপতি দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে র্যাব যে অভিযান চালাচ্ছে সেটাকে ‘অনিয়ম-দুর্নীতি’র বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বক্তব্যে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। এজন্য বিএনপির কাছ থেকে অভিনন্দনও প্রত্যাশা করেছিলেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
দ্য সিনিয়র সিটিজেন সোসাইটি সংবর্ধনা পাওয়া ছয় প্রবীণ হলেন- চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এএএম জিয়া হোসাইন, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান ড. প্রণব বড়ুয়া, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমদ, সাংবাদিক-কবি অরুণ দাশগুপ্ত, উদীচী চট্টগ্রাম সভাপতি বেগম মুশতারী শফি।
চলমান অভিযান সম্পর্কে শুক্রবার বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অভিযানে প্রমাণ হয়েছে সরকারের মদদে দুর্নীতি হচ্ছে।’ এ বক্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির আমলেই তো দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। হাওয়া ভবন তৈরি করে সমস্ত ব্যবসা থেকে টেন পারসেন্ট কমিশন নেওয়া হতো। বিএনপির এই অপকর্ম ও দুর্নীতির কারণেই সেই আমলে বাংলাদেশ প্রতিবছর লজ্জাজনকভাবে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাই চলমান অভিযান ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার বিএনপির নেই।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও কথা বলেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া নিজে কালো টাকা সাদা করেছিলেন। জরিমানা দিয়ে অবৈধভাবে অর্জিত টাকা সাদা করেছিলেন তিনি। কোকোর দুর্নীতি ধরা পড়েছে সিঙ্গাপুরে। তারেক রহমানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে। তার ১০ বছর সাজাও হয়েছে। খালেদা জিয়া নিজে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ যেখানেই অনিয়ম পাওয়া যাবে, সেখানেই অভিযান চালানো হবে।
আরেক জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার হাতে-পায়ে ব্যথা। এটা তার অনেক পুরনো শারীরিক সমস্যা। এ সমস্যা নিয়েই তিনি দু’বার প্রধানমন্ত্রী এবং দু’বার বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এসব সমস্যার কথা তুলে ধরে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বিএনপি।
সূত্রঃ সমকাল