বাইশারী প্রতিনিধি:
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন রামু উপজেলার বাঁকখালী রেঞ্জের ঘিলাতলী বন বিটে সামাজিক বনায়নের প্লট বরাদ্ধে ঘোরতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে গর্জনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব জুমছড়ি এলাকার বাসিন্দারা বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ স্থানীয় সাংসদ রামু কক্সবাজার আসন বরাবরে লিখিত অভিযোগ সহকারে স্মারক লিপি প্রদান করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ঘিলাতলী বন বিট কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম যাচাই বাছাই না করে এলাকার প্রভাবশালীদের নিকট মোটা অংকের বিনিময়ে প্লট বরাদ্ধ দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক বনায়নের প্লট বরাদ্ধের নিয়ম অনুযায়ী এলাকার হতদরিদ্র জনগোষ্টী, স্থানীয় বাসিন্দা, বন বিভাগের সহযোগীতাকারীরা প্লট বরাদ্ধের নিয়ম থাকলেও তা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম।
অভিযোগে আরো উল্লেখ রয়েছে, অভিযোগকারীরা দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত উক্ত ভূমিতে বসবাস করে আসছেন। অভিযোগকারীদের মধ্যে পেঠান আলী, ফরিদ আলম, নুর আয়েশা, শামশুল আলম, আব্দুল গফুর, আলী হোছাইন, আলী আহমদ সহ অনেকেই জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী আজিজ মৌলা তার পিতা, ভাই, খালা, খালু, মামা, ফুফা সহ নিকটতম আত্বীয় স্বজনদের এই প্লট বরাদ্ধ দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। তাছাড়া উক্ত প্রভাবশালীরা তাদের দীর্ঘদিনের বসত ভিটা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে।
তবে আজিজ মৌলা বিষয়টি মুঠো ফোনে অস্বীকার করে বলেন, যারা প্লট বরাদ্ধ পেয়েছে তারা নেহাত গরীব লোক। শুধু মাত্র কমিটি গঠনের জন্য তিনিও একটি প্লট বরাদ্ধ পেয়েছেন।
ঘিলাতলী বন বিট কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম মুঠো ফোনে আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, তিনি প্রথমে স্থানীয়দের সামাজিক বনায়নের প্লট বরাদ্ধ নেওয়ার জন্য তাগিদ দিলেও কোন ধরনের সাড়া না পেয়ে অন্যদের মাঝে বরাদ্ধ দিতে বাধ্য হয়েছে।
তবে সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে স্থানীয়রা জানান, বিট কর্মকর্তা অতি গোপনে কাউকে না জানিয়ে প্লট বরাদ্ধ দিয়েছেন। এলাকাবাসী সুষ্ট তদন্ত পূর্বক বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।