এম.এ আজিজ রাসেল:
সরকারি জায়গায় ‘অবৈধ স্থাপনা’ করার অভিযোগে কক্সবাজার শহরের কলাতলী সৈকত সংলগ্ন একটি আবাসিক কটেজে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় কটেজের গেইট, সীমানা দেয়াল ও সৌন্দর্যবর্ধকারী স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
আজ রবিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ‘ডিভাইন ইকো-রিসোর্টস এন্ড রেস্টুরেন্ট’ নামক আবাসিক কটেজে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার আহমদ ও কক্সবাজার সদর ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
সরকারি জায়গায় ‘অবৈধ স্থাপনা’ করায় তা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার সদর ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মাজহারুল ইসলাম। তবে, কটেজ মালিক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী শাওন আদালতের আদেশ অমান্য করে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ আনেন।
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা মৌজার ২০০০১ ও ২০০২৬ দাগের ১৫২ শতক জমির ক্রয়সুত্রে বৈধ মালিক দাবি করেন শাওন। ‘সার্ভে কমিটির রিপোর্ট’ অনুযায়ী তার দখলে কোন অবৈধ জমি নেই জানিয়ে বলেন, জেলা প্রশাসকের পক্ষে ‘অনাপত্তি’ দিয়ে জমিতে আমার স্বত্ত্ব স্বীকার করেছেন আদালতের জিপি। তার মতে, এসিল্যান্ড ও তহসিলদার এর রিপোর্টও পক্ষে রয়েছে। বৈধ জমিতেই আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। সামান্যতম জমিও অবৈধ দখলে থাকার প্রমাণ দিতে পারবেনা কেউ। শাওনের প্রদর্শিত কাগজপত্রে দেখা যায়, জমির উপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে গত ০৮/০৩/২০১০ ইং কক্সবাজার যুগ্ম-জেলা জজ ২য় আদালতের বিচারক রঞ্জন কুমার সাহা নির্দেশ দেন। অথচ উচ্ছেদ আভিযানের আগে কোন নোটিশও দেয়া হয়নি। একটি বিশেষ মহলের ইন্দনে বিনা নোটিশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে বলে শাওন দাবি করেন।
এদিকে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা ওই কটেজে অবস্থানরত এক পর্যটক জানান, দুই দিনের জন্য আমরা কক্সবাজার বেড়াতে এসে ‘ডিভাইন ইকো-রিসোর্টস এন্ড রেস্টুরেন্ট’-এ অবস্থান করেছি। হঠাৎ ভাঙচুর দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। অনেকে এ অবস্থা দেখে অন্য হোটেলে চলে যাই।
হোটেল-কটেজ ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটন শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও পর্যটক টানতে ‘ডিভাইন ইকো-রিসোর্টস এন্ড রেস্টুরেন্ট’ এর মতো আরো অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলা দরকার। সাগরপাড়ে বড় দালানের চেয়ে এরকম সেমি ইকো-রিসোর্ট বেশি পরিবেশ সম্মত ও আকর্ষণীয় বলে ব্যবসায়ীদের ধারণা।