ইমরান হোসাইন, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার চৌমুহনি থেকে পেকুয়া বাজার পর্যন্ত পাকা রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে জনগণ। মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তাটি দিন দিন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের পেকুয়া বাজারটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বাজার ঘিরে গড়ে উঠেছে শত শত দোকানপাট। এ এলাকার একমাত্র বাজার হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এখানে। এ ছাড়া উপজেলা, জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার জন্য একমাত্র অবলম্বন এ রাস্তাটি।
পেকুয়া বালিকা উচ্চ কিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনোয়ার উলুম মাদ্রাসা, পেকুয়া মহিলা মাদ্রাসা ও জিএমসি উচ্চবিদ্যালয়সহ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজ, বিএমআই কলেজের ছাত্র-শিক্ষকদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ রাস্তাটি।
রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে যাওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সোমবার বড় একটি গর্তে পাথরভর্তি ট্রাক আটকে গেলে দেখা যায় দীর্ঘ যানজটের। দীর্ঘদিন আগে এই রাস্তাটি পাকা করা হয়। কিন্তু এরপর আর কোনো সংস্কার না করায় রাস্তাটির কোথাও কোথাও পাকা রাস্তার চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না। রাস্তার দুই পাশ ধ্বসে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার খানাখন্দ পানিতে ভরে যায়। হাটুরেদের কাদা পানি ভেদ করে চলাচল করতে হয়।
এলাকার সরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজনকে এ রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে হয়। বাস, ট্রাক, অটোবাইক, টেম্পো, অটোভ্যান, অটোরিকশা প্রতিনিয়ত চলাচল করে এ রাস্তায়। ফলে যানবাহনের ওপর নির্ভরশীল ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ যাত্রী-সাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কফিল উদ্দীন বাহাদুর জানান, জনদূর্ভোগের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তারপরও মানুষজন অনেক কষ্টে চলাচল করে। তিনি এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার(এলজিডি) জাহেদুল আলম চৌধুরী আমাদের রামু ডটকমকে জানান, সংস্কারের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে রাস্তা সংস্কার করা হবে।