রামু প্রতিনিধি:
রামু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু মাসুদ সিদ্দিকী বলেছেন, মাটির স্বাস্থ্য সু-রক্ষার মাধ্যমে অধিক ও মানসম্পন্ন ফসল উদপাদন করার জন্য ধৈঞ্চা চাষের বিকল্প নেই। ধৈঞ্চা গাছের সবুজ পাতা থেকে সৃষ্ট জৈব সার ধানক্ষেতের উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ধৈঞ্চা গাছে আকৃষ্ট হয়ে উপকারী পতঙ্গ আসে ধান ক্ষেতে। এরা ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলে।
এ পদ্ধতিতে পোকা দমনে ধানক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করতে হয় না। একারণে চাষিদের আর্থিক ক্ষতি বন্ধের সঙ্গে রোধ হবে পরিবেশ দূষণও। ধৈঞ্চা চাষ হলো সবচেয়ে সহজ এবং কম খরচে পরিবেশ বান্ধব কৃষি ব্যবস্থাপনা। এজন্য ধৈঞ্চা চাষে কৃষকদের উদ্যোগী হতে হবে।
রামুতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত মাটির স্বাস্থ্য সু-রক্ষার জন্য সবুজ সার হিসেবে প্রণোদনার ধৈঞ্চা চাষ কর্মসূচির মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে আবু মাসুদ সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
শনিবার (১৬ জুলাই) সকাল বিকাল চারটায় রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের মৈষকুম ওসমনা সরওয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজিজুল হক আজিজ।
উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আকবর হোসেন সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রামু প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক সোয়েব সাঈদ ও উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ছোটন কান্তি দে। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন কৃষক মোহাম্মদ সুলতান। অনুষ্ঠানে স্থানীয় শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।