সোয়েব সাঈদ, রামুঃ
রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ফারিকুল বড়ুয়াপাড়া এবং শ্রীকুল গ্রামে পৃথক অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭ পরিবারকে ঢেউটিন, শীতবস্ত্র (কম্বল) এবং নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকালে তিনি অগ্নিকান্ডস্থল পরিদর্শনকালে এসব সামগ্রী প্রদান করেন।
এসময় সাংসদ কমল ক্ষতিগ্রস্তদের ধৈর্য ধরার আহবান জানিয়ে বলেন, সৃষ্টিকর্তা যা করেন, তা মঙ্গলের জন্যই করেন। সুখের পাশাপাশি বিপদও সৃষ্টিকর্তার দান। তাই বিপদে হতাশ না হয়ে সাহসের সাথে বিপদ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করতে হবে। তিনি এই কনকনে শীতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আরো সহায়তার হাত প্রসারিত করার জন্য জনপ্রতিনিধি, বিত্তবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
এমপি কমল বিকাল চারটায় উত্তর ফতেখাঁরকুল বড়ুয়া পাড়ায় যান। তিনি সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪টি পরিবারকে আড়াই বান্ডিল করে ঢেউটিন, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের জন্য একটি করে কম্বল এবং প্রত্যেক পরিবারকে ৭ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের আরো ১০ হাজার টাকা করে প্রদানের ঘোষনা দেন।
বিকাল পাঁচটায় রামুর শ্রীকুল গ্রামে অগ্নিকান্ডে ভষ্মিভূত সৌরেন্দ্র বড়ুয়ার বাড়ি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ওই বাড়িতে বসবাসরত ৩টি পরিবারকে আড়াই বান্ডিল করে ঢেউটিন এবং কম্বল বিতরণ করেন।
এসময় ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো, রামু প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেদ শহীদ, রামু উপজেল যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়ুয়া, সাংবাদিক সুনীল বড়ুয়া ও সোয়েব সাঈদ, সাংসদ কমলের একান্ত সচিব মিজানুর রহমান, বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদ রামু উপজেলার সাধারণ সম্পাদক বিপুল বড়ুয়া আব্বু ও দীপক বড়ুয়া, ফতেখাঁরকুল ইউপি সদস্য মোবারক হোসেন, উপজেলা বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সভাপতি একেরামুল হক ইয়াছিনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের উত্তর ফতেখাঁরকুল বড়ুয়া পাড়া এলাকায় সংগঠিত অগ্নিকান্ডে ৯টি বসত বাড়ি ভষ্মিভূত হয়। পরদিন ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে একই ইউনিয়নের শ্রীকুল গ্রামে অগ্নিকান্ডে সৌরেন্দ্র বড়ুয়ার বাড়ি ভষ্মিভূত হয়। এ দুটি অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭টি পরিবার বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।