ইমরান হোসাইন, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ভেওলা পাড়া এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হওয়া সাজেদা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধু নিহত হয়েছেন। উন্নত চিকিসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত সাজেদা বেগম কাদিমাকাটা এলাকার নুরুল আবছারের স্ত্রী বলে জানা গেছে। তিনি ছয় সন্তানের জননী।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৯জুলাই) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ভেওলা পাড়া এলাকায়। পৈত্রিক বসতভিটা নিয়ে দুই ভাইয়ের পরিবার এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতরা হলেন একই এলাকার মৃত গোলাম রহমানের ছেলে নুরুল আবছার(৫০), জসিম উদ্দিনের স্ত্রী কাওসার(২৮), আব্দু ছাত্তারের স্ত্রী ফাতেমা বেগম(২২), আব্দু রাজ্জাকের স্ত্রী মিনুয়ারা বেগম(২০), নুরুল আবছারের মেয়ে মুন্নি আক্তার(১৭), আব্দু ছালামের স্ত্রী খদিজা বেগম(৪৫), নুরুল আলমের স্ত্রী পারভিন আক্তার(৩০) ও ছাবের আহমদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম(৩০)।
পেকুয়া থানা পুলিশ চিকিৎসাধীন অবস্থা থেকে ছাবের আহমদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, আব্দু ছালামের স্ত্রী খদিজা বেগম ও নুরুল আলমের স্ত্রী পারভিন আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পেকুয়া থানার এসআই বিমল কান্তি দেব বলেন, পৈত্রিক বসতভিটা নিয়ে কাদিমাকাটা এলাকার মৃত গোলাম রহমানের ছেলে নুরুল আবছার ও তার ভাই ছাবের আহমদ গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন সকালে নুরুল আবছার ও তার চার মেয়ে ছাবের আহমদ গংদের দখলীয় জায়গায় কাটা তারের বেড়া তৈরির জন্য যায়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে নুরুল আবছার গংদের ছয়জন গুরুতর আহত হন। অপর পক্ষ ছাবের আহমদ গংদের তিন মহিলাও আহত হন।
পেকুয়া থানার ওসি মোস্তাফিজ ভূইয়া আমাদের রামু ডটকমকে বলেন, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।