সোয়েব সাঈদ, রামুঃ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একুশে পদক প্রাপ্ত, বাংলাদেশের বৌদ্ধদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু, উপ-সংঘরাজ, রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের অধ্যক্ষ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের’র জাতীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উদযাপনের জন্য ১০০ কানি জমি প্রদান করে আবারো সম্প্রীতির বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন রামুর মুসলিম জমিদার ও বর্গা চাষিরা। সর্বজন শ্রদ্ধেয় পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের’র প্রতি সম্মান জানিয়ে এসব জমিতে বোরো মৌসুমে চাষ করবেনা বর্গা চাষিরা।
এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) জমির মালিক ও চাষিদের সাথে পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের’র জাতীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার-৩(সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওবাইদুল হক।
পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের’র জাতীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারি তরুন বড়ুয়া’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাজু বড়ুয়া’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় জমিদার মাহবুবুল আলমসহ অন্যান্য জমিদারবৃন্দ, উপ-সংঘরাজ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের’র জাতীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উদযাপন পরিষদের অর্থ সচিব শীলপ্রিয় থের, রামু উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুবীর বড়ুয়া বুলু, সীপন বড়ুয়া, ব্যোমকেশ বড়ুয়া, অরূপ বড়ুয়া কালু মেম্বার, লিটন বড়ুয়া মেম্বার, চিত্রশিল্পী পুলক বড়ুয়া, যুবলীগ নেতা পলক বড়ুয়া, প্রবাল বড়ুয়া নিশান, তরুপ বড়ুয়া, তুহিন বড়ুয়া শানুসহ জমির মালিক, বর্গাচাষি ও উপ-সংঘরাজ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের’র জাতীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ গুরুত্বপুর্ণ বক্তব্য রাখেন।
সভায় জানানো হয় আগামী ২২ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ‘উপ-সংঘরাজ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের’র জাতীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সীমা মহাবিহারের উত্তর পার্শ্বে, বাইপাস সড়কের পূর্ব পার্শ্বে এবং আরকান সড়কের পশ্চিম পার্শ্বের বিশাল জমিতে এ উৎসব আয়োজন করা হবে। অন্তেষ্টিক্রিয়া উৎসবে দেশী-বিদেশী ধর্মীয়, প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া উৎসবকে ঘিরে প্রতিদিন থাকবে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে দেশ বরণ্যে শিল্পীরা অংশ নেবেন। এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে বসবে সপ্তাহব্যাপী জমজমাট মেলা। এতে দেশী-বিদেশী রকমারী পণ্যের বিপুল স্টল স্থান পাবে। এ উৎসবকে ঘিরে কক্সবাজার জেলাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সার্বজনীনভাবে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। উৎসবকে সফল করতে বিভিন্ন উপ-কমিটি দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।