ইমরান হোসাইন, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার বরইতলি-মগনামা সড়কের মগনামা কাটাফাড়ি ব্রীজ থেকে মগনামা ঘাট পর্যন্ত অংশে নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে লবনবাহী ট্রাক সড়কের উপর দাড় করিয়ে লবন ভর্তি ও লবণ পরিবহন করছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এতে, লবণের ক্ষারীয় পানি গড়িয়ে পড়ে মারাতœকভাবে পিচ্ছিল হচ্ছে সড়ক। যার দরূণ প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা।
বুধবার (২০জুলাই) লবণ পানিতে সয়লাব হওয়া পিচ্ছিল সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় প্রায় ৫শ মণ লবণভর্তি একটি ট্রাক। এতে, প্রায় দু’লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয় বলে জানান লবণ ব্যবসায়ী নাছির উদ্দীন।
লবণবাহী ট্রাকটি পটিয়া উদ্দ্যেশে রওনা দিয়ে মাত্র ১০০ গজ সামনে যেতেই চাকা পিছলে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এছাড়াও প্রতিদিনই ছোট-বড় দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে এ সড়কে চলাচল করা বিভিন্ন যানবাহন।
বরইতলী-মগনামা সড়কটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন সধিক যানবাহন চলাচল করে। পেকুয়া উপজেলায় জনগুরুত্বপুর্ন এ প্রধান সড়কটি সম্প্রতি নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
কুতুবদিয়া উপজেলার সড়ক যোগাযোগর একমাত্র মাধ্যমও এ সড়ক। মগনামা জেটিঘাট দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী কুতুবদিয়া থেকে সড়ক পথে জেলা শহর কক্সবাজারসহ চট্টগ্রাম ও সারাদেশে যাতায়ত করে। সড়কের বিপরীত পয়েন্টে উপজেলার দু’ইউনিয়নের অবস্থান। উজানটিয়া ও মগনামা ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ সড়ক। পেকুয়া বাজার এই এলাকার প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্র হওয়ায় ওই দু’ইউনিয়নের মানুষসহ পার্শ্ববর্তী কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি, ধলঘাটা থেকেও মানুষ দৈনন্দিন কাজ সারতে পেকুয়া বাজার আসেন।
পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারী স্কুল-কলেজের ছাত্র-শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সরকারী চাকরীজীবিসহ বিভিন্ন পেশার লোকজনদের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ সড়কটি।
সড়কটি লবণ পানিতে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ফলে যানবাহনের ওপর নির্ভরশীল ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ যাত্রী-সাধারণ চরম ঝুঁকিতে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে লবনবাহী ট্রাক সড়কের উপর দাড় করিয়ে লবন ভর্তি ও লবণ পরিবহন কাজের নিয়ন্ত্রণ করছে মগনামা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি তোফায়েল আহমদ ও তার নিয়ন্ত্রাধীন সিন্ডিকেট। লবন ভর্তি ও লবণ পরিবহনের জন্য প্রতিটি ট্রাক গাড়ি থেকে তারা ৫শত টাকা হারে আদায় করেন বলেও জানান তারা।