সোয়েব সাঈদ, রামু
বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশ ও জনকল্যাণে সামাজিক বনায়ন ভূমিকা রাখছে। সামাজিক বনায়ন দেশের দরিদ্র, ভূমিহীন ও বেকার জনগোষ্ঠিকে আর্থিক স্বচ্ছলতা এনে দিচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সামাজিক বনায়ন অবদান রাখছে। এজন্য সরকার সামাজিক বনায়নে এদেশের সব শ্রেণি-পেশার জনগণকে সম্পৃক্ত করছে। সামাজিক বনায়ন বৃদ্ধি ও রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও উদ্যোগী এবং আন্তরিক হতে হবে।
রামু উপজেলার রাজারকুল রেঞ্জের আওতাধিন সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের লভ্যাংশের চেক বিতরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও কাজী তারিকুর রহমান, খুনিয়াপালং চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদ প্রমূখ।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় বন বিভাগের রাজারকুল রেঞ্জ কার্যালয় প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বন বিভাগের রাজারকুল রেঞ্জ কর্মকর্তা তোহিদুর রহমান টগরসহ কর্মকর্তা-কর্মচারি, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং ২০০৫-০৬ ও ২০০৭-০৮ ইং সনের সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অতিথিবৃন্দ ২০০৫-০৬ ইং সনের মোট ৫০ জন উপকারভোগীর প্রত্যেককে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০৭ টাকা করে এবং ২০০৭-০৮ ইং সনের মোট ৩০ জন উপকারভোগীর প্রত্যেককে ১ লাখ ২২ হাজার ৪২৪ টাকা করে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করেন।