নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বান্দরবানের লামার ফাইতং ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে বনের ভেতর অবৈধভাবে গড়ে তোলা আরও ছয়টি ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময় এসব ইটভাটাকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ,র্যাব ও দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করে।
এর আগে এর আগে গত ২৩ জানুয়ারী এ্কই ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা পাঁচটি ইটভাটা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় এসব ইটভাটা থেকে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাড়ে ১১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ অভিযানসহ মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে এই একটি ইউনিয়নেই ১১টি ইটভাটা ধ্বংস করা হয়।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলামের নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম পাভেলের তত্ত্বাবধানে এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন, নির্বাহী ম্যাজিসস্ট্রেট জাকির হোসাইন,মো. কায়েসুর রহমান, ও নাজমুল হাসান।
অভিযানকালে র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমল চন্দ্র কর্মকার,পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ছামিউল আলম কুরসী,ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো.নজরুল ইসলামসহ বান্দরবান জেলা পুলিশ ও লামা দমকল বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।
বান্দরবান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) বদিউল আলম পাভেল জানান, জেলা প্রশাসনের অনুমোদন,পরিবেশ ছাড়পত্র না নিয়ে এসব ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এসব ভাটগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কাটা মাটি দিয়ে ইট তৈরী করে আসছিল। কয়লার পরবের্তে ব্যবহার করছিল বনের কাঠ। এসব অভিযোগে ভাটাগুলোতে অভিযান পরিচালনা হয়।
তিনি আরও বলেন, নানা অনিয়মের অভিযোগে মো.জুনাইদ ইসলামের মালিকানাধীন ফাইভ বিএম ও বশির আহম্মদের এমএমবি ইটভাটাকে দুইলাখ ৫০ হাজার টাকা করে এবং মো. আল মামুনের এমএসবি, গিয়াস উদ্দিনের এসবিডব্লিও ও মোস্তাক আহম্মদের কেবিসি ইটভাটাকে তিনলাখ করে ও জাফর আলমের এফএসি ইটভাটকে চারলক্ষ টাকা সহ মোট ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এসব ইটভাটা যাতে আবার স্থাপন করতে না পারে সেজন্য ছয়টি ইটভাটাকে শুধু ১৮ লাখ জরিমানা ছাড়াও স্কেভেটর ও দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় ভাটাগুলোতে সম্পূর্ণ গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এলাকার পরিবেশ সুরক্ষায় বান্দরবানের সকল উপজেলায় পর্যায়ক্রমে এ অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন এডিএম বদিউল অালম পাভেল।