গিয়াস উদ্দিন ভুলু , টেকনাফ:
সীমান্ত নগরী হিসাবে খ্যাত বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত টেকনাফ পৌরসভা। এই পৌরসভাকে ঘিরে রয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্টান। তার মধ্যেঅন্যতম একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্টান হচ্ছে টেকনাফ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে অবস্থিত শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ টেকনাফ ডিগ্রী কলেজ।
এই কলেজটি প্রতিষ্টিত হয় ১৯৯৪ সালে। অবশেষে দীর্ঘ ২২ বছর পর এই কলেজটি সরকারিকরণ হওয়ায় আনন্দে, উৎসবে, খুশিতে ভাসছে টেকনাফ উপজেলার সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষ। সেই আনন্দে মিশে একাকার হয়েছে টেকনাফ ডিগী কলেজের শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, তৎকালীন বিগত আমলে সীমান্ত নগরী টেকনাফ উপজেলার মানুষ যখন দিনের পর দিন শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়ে যাচ্ছে ঠিক তখনি শিক্ষার হার বাড়াতে কাজ শুরু করে টেকনাফ উপজেলার বেশ কয়েক জন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সেবকরা। এর মধ্যে উখিয়া-টেকনাফের
মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব আবদুর রহমান (বদি) পিতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মরহুম এজাহার মিয়া কোম্পানি অন্যতম।
কলেজ সুত্রে আরো জানা যায়, ১৯৯৪ সালে টেকনাফ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে ৩ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় এই ডিগ্রী কলেজটি। তখন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজ সেবক গরীবের বন্ধু মরহুম এজাহার মিয়া কোম্পানি।
এই কলেজটি চালু হওয়ার পর প্রথম ধাপে প্রায় ২৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী দিয়ে শিক্ষার যাত্রা শুরু হয়। এবং ১৯৯৬ সালে এই শিক্ষাথীদের নিয়ে প্রথম ডিগ্রী পরীক্ষা অনুষ্টিত হয়। ওই সময়ে উক্ত কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন টেকনাফ শিক্ষক, শিক্ষাথী ও শিক্ষিত সমাজের প্রিয় মুখ অধ্যক্ষ বাবুল কান্তি ভৌমিক। এই অধ্যক্ষ খুবই আন্তরিকতার সাথে শিক্ষার হার বাড়ানোর জন্য দিনের পর দিন কাজ করে গেছেন।
এদিকে প্রতিষ্টাতা সভাপতি এজাহার কোম্পানি মৃত্যুর পর টেকনাফ উপজেলার শিক্ষার হার আরো এগিয়ে নিতে এই কলেজটির শিক্ষার মান আরো উন্নত করতে হাল ধরেন মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি। এবং এই কলেজকে সরকারিকরনের আওয়াতায় আনতে তিনি দিনের পর দিন কাজ করে অবশেষে গত ৩০ জুন এই কলেজটিকে সরকারিকরণের ঘোষনা আসে।
বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সরকারিকরণের জন্য কলেজটি ঘোষিত হওয়ায় টেকনাফ উপজেলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজ ও সাধারণ মানুষের মাঝে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। সবার মুখে মুখে একটি কথা মাননীয় সাংসদ বর্তমান কলেজ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি অনুপ্রেরনায়, সহযোগিতা ও দীর্ঘ পরিশ্রমের পর কলেজটি সরকারিকরণ হয়েছে।
টেকনাফ ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক শামসুল আলম জানান, ১৯৯৪ সালে এই কলেজটি প্রতিষ্টা লগ্ন থেকে ২৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী দিয়ে শিক্ষার যাত্রা শুরু করি। তার পাশাপাশি এই কলেজের সুনাম বয়ে আনতে টেকনাফ উপজেলার শিক্ষার হার বাড়াতে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে আমাদেরকে সহযোগিতা করে আসছেন মরহুম এজাহার মিয়া কোম্পানি ও অত্র এলাকার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও গুনি জনেরা এবং সেই ধারাবাহিকতা গতিশীল করে শিক্ষার হার আরো উন্নত করে উক্ত কলেজকে সরকারিকরণ করতে দিনের পর দিন পরিশ্রম করে গেছেন মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি।
অবশেষে আমাদের এই দীর্ঘদিনের বিদ্যাপীঠ সরকারিকরণ হওয়ায় আমরা গর্বিত, আমরা আনন্দিত। তিনি আরো বলেন, শুধু সরকারিকরণ হয়ে কলেজ নিয়ে বসে থাকলে হবেনা। আরো ভাল শিক্ষক দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানে সহযোগিতা করে আমাদের সবাইকে উক্ত কলেজের শিক্ষার মান বাড়িয়ে আরো সুনাম বয়ে আনতে হবে।