আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি বিশেষজ্ঞ দল চীনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রস অ্যাডহানম গ্রেব্রেইয়েসুস।
তিনি বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. ব্রুস এলওয়ার্ডের নেতৃত্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি বিশেষজ্ঞ দলকে চীনে পাঠাতে আমরা বিমানবন্দরে এসেছি।’
এর আগে প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণ এবং টিকাদান, সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও পোলিও নির্মূলের উদ্যোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ড. ব্রুস।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। মহামারির আশঙ্কায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই চীন থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়া এ ভাইরাস ঠেকাতে চীন-ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
এদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত এতে মারা গেছেন আরও ৮৯ জন। এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির সংখ্যা।
বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ৮১৩ জন। এর মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ড ও এর বাইরে মৃত্যু হয়েছে ৮১১ জনের। এছাড়া হংকং ও ফিলিপাইনে মারা গেছেন একজন করে।
রোববার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জনিয়েছে, করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২০০২-০৩ সালে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া সার্সকেও (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ছাড়িয়ে গেছে। সে সময় সার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বের ২৪টিরও বেশি দেশে মোট ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়, আক্রান্ত হন ৮ হাজার ৯৮ জন।
শনিবার চীনে নতুন করে আরও ২ হাজার ৬৫৬ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। ফলে দেশটির মূল ভূখণ্ডে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ১৯৮ জন। আর চীনসহ বিশ্বে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ৩৭ ৫৫৮ জনে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ