আল মাহমুদ ভূট্টো, রামুঃ
গাছপালা ও পাহাড় কেটে ফেলার কারনে ঝর্ণা, নদী বা খালের উৎপত্তিস্থল বনভূমি বিলিন হয়ে যাচ্ছে। আবার জলাধার বা জলাশয়গুলো ভরাট করে ঘরবাড়ি তোলা হচ্ছে। কৃষি এবং অন্যান্য কাজে ভূ-গর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। গৃহস্থলি ও বাজারের ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে যত্রতত্র ফেলার কারনে রেজুখালের পানি দূষিত হয়ে যাচ্ছে। কৃষিকাজে পানির ব্যবহার, অপচয় রোধে এবং সংরক্ষণে সোলার ইরিগেশন, বারিড পাইপ স্থাপন, সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে সেচ পাম্প বসানো, নদী বা খালের ধারে বেড়িবাঁধ, বনায়ন, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এজন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ, জনসচেতনতা এবং পরিবেশ বান্ধব প্রকল্প বাস্তবায়ন। রেজু খালের তীরবর্তী রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়ন ও উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের কিছু অংশে ওয়াটার শেড নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর অর্থায়নে ওয়াটারসেড ফর সোসাল ইকোলজিক্যাল রেজিলিয়েনস ইন টেকনাফ পেনিনসুলা প্রজেক্টের মাধ্যমে এ কাজটি বাস্তবায়ন করছে সেন্টার ফর নেচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস)।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রামু উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত ওয়াটারসেড প্ল্যানিং ওয়ার্কশপে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) চাই থোয়াইলা চৌধুরী, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ন্যাশনাল ফরেস্ট্রি স্পেশালিস্ট মো. তানজিমুল আলম আরিফ, ন্যাশনাল জি.আই.এস স্পেশালিস্ট সায়মুন্নাহার রিতু, উপজেলা প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম প্রমূখ। ওয়ার্কশপে প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্ল্যানিং কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রজেক্ট ম্যানেজার মোজাহারুল আলম মুকুট। সিএনআরএস এর মনিটরিং এন্ড এভালিউএশন অফিসার আসমা উল হুসনার সঞ্চালনায় ওয়ার্কশপে, উপজেলা কৃষি বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, পশু সম্পদ বিভাগ, বনবিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ উপকারভোগী কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম, মো. বিলাল হোসেন, মিজান উলাহ, মো. মুরসালিন, আব্দুল লতিফ, ইমরান খান, মোবারক আহমেদ প্রমূখ।