অনলাইন ডেস্কঃ
আলোয় আলোয় নতুন রূপে সেজেছে লুই আই কানের অনন্য সৃষ্টি জাতীয় সংসদ ভবন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চিরচেনা সংসদ ভবন বর্ণিল রূপ নিয়েছে। নানা রঙের আলোকসজ্জায় বঙ্গবন্ধু ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সংসদ ভবনের দেয়ালে। সংসদের ভেতরে ও বাইরে বঙ্গবন্ধু কর্নার রাখা হয়েছে। সেখানে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বই পাওয়া যাচ্ছে। আর বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ ছবির ব্যানার ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে।
জানা গেছে, কোরোনাভাইরাসের কারণে মূল অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ার পর সংসদের এটিই এখন মূল অনুষ্ঠান। তবে সেখানে লোক সমাগম তেমন করা হবে না। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী বাস্তবায়ন কমিটির এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বাণী দেবেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেছেন, আগামীকাল রাত ৮টায় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠান শুরু হবে। ১৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আতশবাজির মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পিক্সেল শোয়ের মাধ্যমে শেষ হবে। মূলত টেলিভিশনের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নাম করণ করা হয়েছে ‘মুক্তির মহানায়ক’।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী বাস্তবায়ন কমিটির এক সদস্য জাগো নিউজকে বলেন, জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিপুল জনসমাগম করে যে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল করোনার কারণে সেটি হচ্ছে না। তাই সে অনুষ্ঠানের কিছু অংশ দেখানো হবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠিানে। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ রাত ৮ টায় জন্মগ্রহণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আনন্দঘন সেই সময় স্মরণীয় করে রাখতে জন্মশতবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান রাত ৮টায় আতশবাজী ও ফায়ার ওয়ার্কসের মাধ্যমে শুরু হবে অনুষ্ঠানমালা। পাঁচ থেকে সাত মিনিট ধরে চলবে এ আতশবাজি।
সোমবার সংসদ ভবন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সেখানে সাজ সাজ রব। রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদের আয়োজন ঘুরে দেখেছেন। এজন্য সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সংসদের প্রবেশ পথে দৃষ্টিনন্দন বিলবোর্ডে স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধু মুখচ্ছবি। আর মূল অনুষ্ঠানের জন্য দক্ষিণ প্লাজায় বসানো হয়েছে বিশাল ডিসপ্লে বোর্ড। সেখানে দেখানো হবে লেজার শো। পিক্সেল ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে দেখানো হবে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সময়ের ভাষণের উদ্ধৃতি ও বিভিন্ন মুহূর্ত। ১৯৫২ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাগুলো তুলে ধরা হবে। এছাড়া আলোকসজ্জার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সময়ের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠবে। দুই ঘণ্টার অনুষ্ঠানে পিক্সেল শো, কোরিওগ্রাফিসহ আরও কিছু আয়োজন রয়েছে। এই অনুষ্ঠান সকল টিভি চ্যানেল, অনলাইন ও সোশাল মিডিয়ায় একযোগে প্রচার করা হবে। এই অনুষ্ঠানের মধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ