সোয়েব সাঈদ, রামুঃ
করোনা ভাইরাস সংক্রমরোধে দেশজুড়ে চলছে রেড এলার্ট। এমন পরিস্থিতিতে সদ্য প্রবাস ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিভাগসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিগত কয়েকদিন ধরে রামু উপজেলাকে করোনার ভয়াল কবল থেকে রক্ষায় প্রাণপণ কাজ করে যাচ্ছেন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা।
দেশ ও মানুষের কল্যাণে তিনি কাজ করছেন নিবেদিতপ্রাণ হয়ে। বুধবার ১৮ মার্চ বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাজারীকুল, বাইপাস ও কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ফুলনীরচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা সৌদিআরব, দুবাই এবং ওমান ফেরত ৩ ব্যক্তিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। হোম কোয়ারান্টাইন আইন অমান্য করায় তিনি তাদের এ অর্থদন্ড দেন। অভিযানে অংশ নেন, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়াসহ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারীবৃন্দ।
আগেরদিন মঙ্গলবার তিনি পাঠদান করার অভিযোগে একটি কোচিং সেন্টারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সর্বশেষ বৃহষ্পতিবার (১৯ মার্চ) রাতে তিনি ছুটে যান রামুর সবচেয়ে দূর্গম জনপদ ঈদগড় ইউনিয়নের ঈদগড় বাজারে। সেখানে তিনি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত দামে পন্য বিক্রয় ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারি ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এসময় তিনি অতিরিক্ত মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় করায় ঈদগড় হাসান স্টোরকে ৬ হাজার টাকা এবং পণ্য মূল্য তালিকা না থাকায় অপর একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা জানান, সদ্য যারা প্রবাস থেকে দেশে এসেছেন তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণ এবং ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এ আইন অমান্যকারিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। দেশ ও জনকল্যাণে সবাইকে এ আদেশ মেনে চলতে হবে। এছাড়া করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির সুযোগে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি এবং কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে। জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি কঠিন এ পরিস্থিতিতে প্রতিটি নাগরিককে দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ ও সচেতন ভূমিকা পালন করারও আহবান জানান। পাশাপাশি যে কোন প্রকার জমায়েত বা সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকার জন্যও সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।