প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের জন্যই বাংলাদেশ ডিজিটালে রূপান্তর হচ্ছে। আওয়ামী লীগ না থাকলে ডিডিটাল বাংলাদেশ হবে না এবং যেটুকু অগ্রগতি হয়েছে সেটুকও থাকবে না। রবিবার সন্ধ্যায় জয় নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে একথা লিখেছেন।
প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয় বলেন, অনেকদিন ধরেই আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কিছু লিখছি। গত সাত বছরে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অসাধারণ অগ্রগতি করেছে। আরও অনেক কিছু আগামীতে অর্জন হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরে জয় লিখেছেন, ইতোমধ্যে সরকারি কাজে আমরা ই-টেন্ডার ও ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু করেছি। ধীরে ধীরে অনেক মন্ত্রণালয়ে তা কার্যকর করা হচ্ছে। ই-টেন্ডারিংয়ের ফলে দুর্নীতি ধীরে ধীরে কমে আসবে। টেন্ডার জমা দিতে কাউকে কোনও কার্যালয়ে যেতে হবে না। ইলেক্ট্রনিকভাবেই টেন্ডারগুলো পর্যালোচনা করা হবে। ফলে কেউ তা নিজের স্বার্থে কাজে লাগাতে পারবে না।
ই-ফাইলিং ব্যবস্থা নিয়ে জয় লিখেছেন, সরকারি সংস্থাগুলো দ্রুত নথিপত্র আদান-প্রদান ও ব্যবস্থাপনার জন্য ই-ফাইলিং ব্যবহার করবে। সরকারি কর্মকর্তাদের দ্রুত ফাইল ব্যবস্থাপনার জন্য পয়েন্ট পুরস্কার দেওয়া হবে। এ পয়েন্টেরভিত্তিতে তাদের বোনাস ও পদোন্নতি দেওয়া হবে। তাই এখন তারা দেরি না করে দ্রুত কাজ শেষ করবেন।
সরকারি বেশ কিছু সেবা ডিজিটাল করার কথা উল্লেখ করে জয় আরও লিখেছেন, অনেক মানুষই জন্ম নিবন্ধন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি রেজিস্ট্রেশন করেন। এখন তা জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। যাতে করে এতে জালিয়াতির সুযোগ না থাকে।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরে বলেন, এসব পদ্ধতি চালুর ক্ষেত্রে শুরু থেকেই নিরাপত্তা তৈরি করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে অ্যাডভান্সড একসেস কন্ট্রোল সিস্টেমস চালু করা হয়েছে।
গ্রামে গ্রামে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার কথা তুলে ধরে জয় লিখেছেন, ২০১৮ সালের মধ্যে দেশের প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক ক্যাবল পৌঁছে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশের সব স্থানে ৫ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়াই এ পরিকল্পনার উদ্দেশ্য।
জয় আরও লিখেছেন, যারা জানেন না তাদের জন্য উল্লেখ করছি, ইতোমধ্যে সব ধরনের আবেদনপত্র সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে এবং সেখান থেকে তা ডাউনলোড করা যায়। বেশির ভাগ আবেদনপত্রই অনলাইনে পূরণ করে পাঠানো যায়। এ কাজের জন্য এখন আর সরকারি কার্যালয়ে আসতে হয় না। যদি না কাউকে অন্য কোনও নথিপত্র ও টাকা উত্তোলন করতে না হয়।
তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন