খালেদ শহীদ, রামুঃ
রামুতে দুইটি বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। ওই দুই পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিধিনিষেধ আরোপ করে নজরদারিতে রেখেছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সকালে উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের হালদারকুল গ্রামের হারুনুর রশিদের বাড়ি ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের নতুন তিতারপাড়া গ্রামের ইউছুফ মৌলভির বাড়িকে লকডাউন করেছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা।
জানা গেছে, রাজারকুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হালদারকুল গ্রামের হারুনুর রশিদের বাড়িটি (হারুমিয়ার বাড়ি) শুক্রবার সকালে লকডাউন ঘোষনা করে উপজেলা প্রশাসন। হারুনুর রশিদের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৪) বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরে আসায় সন্দেহজনক কারণে বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। সাদ্দাম হোসেন চট্টগ্রামের গার্মেন্টস কর্মী।
রাজারকুল ইউপি সদস্য শামসুল আলম জানান, চট্টগ্রামের একই বাসায় সাদ্দাম হোসেন সহ তিনজন থাকতেন। তারা তিনজনই অসুস্থ হয়ে পড়লে, সাদ্দাম হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি চলে আসে। সন্দেহজনক কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা হালদারকুল গ্রামের হারুনুর রশিদের বাড়িটি (হারুমিয়ার বাড়ি) লকডাউন করেন। সাদ্দাম হোসেন সহ বাড়ির সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বিধিনিষেধ আরোপ করেন। নিম্নআয়ের ওই পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্যসহায়তা দেয়া হয়েছে এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাড়ির সকলকে নজরদারিতে রেখেছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
অপরদিকে শুক্রবার সকালে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের নতুন তিতার পাড়া গ্রামের মাওলানা মোহাম্মদ ইউছুফের বাড়িটি রামু’র ইউএনও’র নির্দেশে লকডাউন করেছে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. আনিছুর রহমান।
স্থানীয় সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধূরী জানান, গত ২৫ মার্চ মাওলানা মোহাম্মদ ইউছুফের দু’ছেলে আলী হোসেন ও আমীর হোসেন ঢাকা থেকে আসেন। আলী হোসেনের হঠাৎ সর্দি-জ¦রের মতো হলে বৃহস্পতিবার স্থানীয় গর্জনিয়া বাজারের জনৈক চিকিৎসকের কাছে যান। এসময় স্থানীয় জনতা আলী হোসেনের সর্দি-জ¦র নিয়ে আশংখা প্রকাশ করলে, প্রশাসন শুক্রবার সকালে বাড়িটি লকডাউন করে দেয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা জানান, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টিম চট্টগ্রাম থেকে আসা রাজারকুল হালদারকুল এলাকার ওই যুবকের দেহের নমুনা সংগ্রহ করে, টেস্টের জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠিয়েছে। তাদেরকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।