অনলাইন ডেস্কঃ
নাইক্ষ্যংছড়ি পুরো উপজেলা গত ২৪ মার্চ সম্পূর্ণ লকডাউন (Lockdown) ঘোষনা করা হয়। তখন থেকে লকডাউন (Lockdown) চলছে। জারীকৃত লকডাউন (Lockdown) আদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। সে আদেশ এখনো পুরোপুরি বহাল আছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের কোনাপাড়ায় তাবলীগ ফেরত আবু ছিদ্দিক (৭০) এর শরীরে বৃহস্পতিবার ১৬ এপ্রিল করোনা ভাইরাস জীবাণু সনাক্ত হওয়ার পর নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা লকডাউন Lockdown করবেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন একথা বলেন।
নাইক্ষ্যংছড়ির ইউএনও এবং উপজেলা করোনা ভাইরাস সংক্রামণ প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটির আহবায়ক সাদিয়া আফরিন নাইক্ষ্যংছড়িবাসীকে আতংকিত না হয়ে, করোনা স্বাস্থ্য নির্দেশনা, সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থানের অনুরোধ জানিয়েছেন।
গত ২৪ মার্চ কক্সবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে মুসলিম খাতুন (৭৮) নামক একজন করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়। সেই করোনা রোগী মুসলিমা খাতুনকে এরআগে গত ১৮ মার্চ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে হাসপাতালে নিরবচ্ছিন্নভাবে চিকিৎসা সেবা দেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস সহ আরো কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। মুসলিমা খাতুনের দেহে করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়ার পর ডা. মোহাম্মদ ইউনুস সহ সদর হাসপাতালে উক্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা ২১ জনকে হোম কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়। উক্ত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ ইউনুসের সহধর্মিণী হচ্ছেন, নাইক্ষ্যংছড়ির ইউএনও সাদিয়া আফরিন। গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় সাদিয়া আফরিন এক গণবিজ্ঞপ্তি জারী করে পুরো নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাকে লকডাউন (Lockdown) ঘোষনা করে ইউএনও সাদিয়া আফরিন নিজেই হোম কোয়ারান্টাইনে চলে যান। ইউএনও সাদিয়া আফরিনের ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টাইন পিরিয়ড পার হওয়ার পর তিনি আবার স্বপদে ফিরে আসেন।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে স্যাম্পল টেস্ট পরীক্ষায় ১৬ এপ্রিল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু জিরো পয়েন্টের কোনা পাড়ায় মৃত মোখলেছুর রহমান পুত্র ও তাবলীগ ফেরত আবু ছিদ্দিকের শরীরে করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়ে। উক্ত করোনা জীবাণু সনাক্ত হওয়া রোগী এখন নিজ বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে রয়েছে। বান্দরবান জেলার প্রথম করোনা ভাইরাস জীবাণু সনাক্ত হওয়া রোগী হলেন তাবলীগ ফেরত উক্ত আবু ছিদ্দিক।