অনলাইন ডেস্কঃ
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকেূলে উদ্ধার প্রায় চারশ রোহিঙ্গাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বলে কোস্টগার্ড জানিয়েছে।
কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সোহেল রানা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে জেলার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের জাহাজ ঘাট থেকে নারী ও শিশুসহ ৩৯৬ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার হয়, যারা মালয়েশিয়ার উদ্দেশে সমুদ্রযাত্রা করেছিল বলে কোস্টগার্ডকে জানিয়েছেল।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে কমান্ডার সোহেল রানা বলেন, বড় একটি ট্রলারে করে রোহিঙ্গা ও মাঝিমাল্লাসহ অন্তত ৪৪৫ জন গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার উদ্দ্যেশে যাত্রা করে। দীর্ঘদিন সাগরে অবস্থান করে কয়েকবার মালয়েশিয়ার সমুদ্র সীমায় পৌঁছলেও দেশটির নৌ-বাহিনী ও উপকূলীয় বাহিনীর নজরদারির কারণে দেশটিতে উঠতে পারেনি।
“গভীর সাগরে অবস্থান করে কয়েকবার মালয়েশিয়া উপকূলে ভিড়তে চেষ্টা চালায় ট্রলারটি; কিন্তু দেশটির নৌ-বাহিনী ভিড়তে না দিয়ে ফেরত পাঠায়। দীর্ঘদিন সাগরে অবস্থানের কারণে ট্রলারটিতে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এক পর্যায়ে ট্রলারটি মিয়ানমার উপকূলে ভিড়তে চেষ্টা করলেও দেশটির নৌ-বাহিনীর তৎপরতার কারণে সাগরে ফিরে আসতে বাধ্য হয়।”
কমামান্ডার রানা জানান, এরপর ফিরে এলে গত বুধবার রাত ১০টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর জাহাজ ঘাটে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার ৩৯৬ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ১৫০ জন পুরুষ, ১৮২ জন নারী ও ৬৪ জন শিশু ছিল।
তিনি জানান, বুধবারে উদ্ধারের পর তাদের উপকূলেই রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের রোহ্গিা প্রত্যাবাসনের জন্য স্থাপিত টেকনাফের কেরুনতলী ট্রানজিট ক্যাম্পে নেওয়া হয়।
“সেখান থেকে তাদের বৃহস্পতিবার সকালে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআরের তত্ত্বাবধানে উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়।”
কমান্ডার সোহেল রানা আরও বলেন, সাগরে অবস্থানের সময় খাদ্য সংকট ও অসুস্থ হয়ে অন্তত ৪৫ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে বলে উদ্ধারপ্রাপ্তরা জানিয়েছেন।
“ট্রলারটি ভিড়ার আগে চারজন পালিয়ে গেছে বলে উদ্ধার রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন। এরা ট্রলারের মাঝিমাল্লা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
সূত্রঃ বিডিনিউজ