এম.এ আজিজ রাসেল:
শহরের বড়বাজার মাছ ব্যবসায়িরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে। বুধবার সমিতির বিতর্কিত একটি অফিস গুড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই ধর্মঘটের ডাক দেয় বড়বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।এর ফলে বড় বাজারের কাচা তরকারি, শুটকি-মাংস ও কাচা মাছ বাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখে।
তবে বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর সাথে ফলপ্রসু বৈঠকের স্বর্থে এবং পৌরবাসী ও ব্যবসায়ীরা যাতে ভোগান্তির শিকার না হন সে কারণেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন তারা।
বড়বাজার মৎস্য ব্যবসায়ি কল্যাণ সমিতির সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা জানান, আমরা প্রকৃত ব্যবসায়ী। আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।তা স্বত্বেও মেয়রের মৌখিক আশ্বাসে এবং পৌরবাসী ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আমরা বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি। আজ মেয়রের সাথে সমিতির নের্তৃবৃন্দের বৈঠকে আমাদের সকল ক্ষতিপূরণসহ পৌরসভার সচিব শামসুদ্দিন এর প্রত্যাহার চাইব।তিনি ধর্মঘট সফল করায় সকল ব্যবসায়ি ও সমিতি নেতৃবৃন্দকে কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি আরও জানান, ২০১০ সালে বড় বাজার মৎস্য ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি (যার রেজি: নং: ৪৩৫/১৩) প্রতিষ্ঠিত হয়। পৌর মেয়রের নির্দেশে অফিস ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল।কিন্তু বুধবার বিনা নোটিশে নবনির্মিত অফিস ঘর উচ্ছেদে তাদের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। এমনকি উচ্ছেদ অভিযানকালে ক্যাশ বাক্সে থাকা সমিতির লাখ টাকা লুট হয়।
এদিকে মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান চৌধুরী আমাদের রামু ডটকমকে জানান, মাছ ব্যবসায়িদের ডাকা ধর্মঘটকে ‘অবৈধ’ এবং অযৌক্তিক। সরকারি জায়গা দখল উচ্ছেদ এর প্রতিবাদে ডাকা এই ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, শুধু মাছের দোকান বন্ধ থাকলেও অন্যান্য দোকানপাট খোলা এবং ব্যবসা বাণিজ্য স্বাভাবিক ভাবে ছিল।
উল্লেখ্য, ২৭ জুলাই বুধবার দুপুর ২টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোজাম্মেল হক রাসেল, কক্সবাজার পৌরসভার সচিব শামসুদ্দিন, পৌর কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির, কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই ফারুকসহ পুলিশ ও পৌরসভার কর্মচারীরা অভিযান চালিয়ে বড়বাজারে শুটকি মার্কেট সংল্গ্ন অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।