হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী :
সাধারণ মানুষের মাঝে একে একে মাক্স ও কোমল পানিয় বিতরণ করছেন পুলিশ-জনপ্রতিনিধি। পাশাপাশি মাইক হাতে প্রচারণা চালাচ্ছেন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কি করণীয় বা বর্জনীয়।
লাটি হাতে মানুষ তাড়ানো বাদ দিয়ে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রাণান্ত চেষ্টা। এ যেন ভিন্ন এক দৃশ্য। বলছি রামু থানার নিয়ন্ত্রণাধীন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক মো. আনিছুর রহমান ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মো. ইসমাইল নোমানের কথা। তাঁদের এই মানবিক কর্মযজ্ঞ প্রতিনিয়তই চলছে। এ ধরণের মানবিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এলাকাবাসী।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক মো. আনিছুর রহমান বলেন- সপ্তাহে দুই দিন কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া বাজারে হাট বসে। এ সময়ে মানু্ষের চাপ বাড়ে। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন স্যার ও রামু থানার ওসি আবুল খায়ের স্যারের নির্দেশে গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁড়ির প্রতিটি পুলিশ সদস্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে সোম ও বৃহস্পতিবার বাজার নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি শতভাগ মাক্স ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, অসহায়দের মাঝে খাবার পৌঁছে দেওয়া এবং উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে করোনা আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করে যাচ্ছে পুলিশ সদস্যরা।