ক্রীড়া ডেস্কঃ
করোনার মধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে খেলাধুলা। ইউরোপিয়ান ফুটবল লিগগুলো এরই মধ্যে জমে উঠেছে। তবে সব ক্ষেত্রেই মাঠে দর্শকদের প্রবেশের অনুমতি নিষিদ্ধ। ফাঁকা স্টেডিয়ামেই লড়ছেন লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোারা।
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হলে বাড়িতে বসে, টিভিতে চোখ রেখে ম্যাচ দেখার প্রয়োজন হবে না ক্রিকেটপ্রেমীদের। গ্যালারিতে বসেই প্রিয় দলের জন্য গলা ফাটাতে পারবেন সমর্থকরা। তেমনটাই জানিয়ে রাখলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কেভিন রবার্টস। তার জায়গায় অন্তর্বর্তী প্রধান নির্বাহী নিক হকলি জানালেন, ‘১৬টি দল নিয়ে এবার টুর্নামেন্ট আয়োজন নিঃসন্দেহে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। তবে অস্ট্রেলিয়ায় যখনই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হোক না কেন, গ্যালারিতে বসেই ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন সমর্থকরা।
বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপের জন্য বন্ধ করে দিতে হয় খেলাধুলার সমস্ত ইভেন্ট। ফুটবলের মত ক্রিকেটও সে কারণে বন্ধ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আকাশ থেকে অনিশ্চতয়তার মেঘ এখনও কাটেনি। ধারণা করা হয়েছিল চলতি মাসে আইসিসির বৈঠকে হয়তো কোনো সমাধান বেরিয়ে আসবে।
কিন্তু এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পৌঁছাতে পারেনি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। তারা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে আরও খানিকটা সময় চেয়ে নিয়েছে। জুলাইয়ে এ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটতে পারে। এ কারণে এখনও বিশ্বকাপের আশা টিকে আছে; কিন্তু তা আদৌ অস্ট্রেলিয়ায় হবে কি না, সে নিয়েও থাকছে সংশয়।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকেই বলা হয়েছিল, ‘যা পরিস্থিতি, তাতে অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়া কার্যত অসম্ভব। কারণ দ্বিপাক্ষিক সিরিজের তুলনায় করোনা আবহে এতবড় টুর্নামেন্ট আয়োজন অনেক বেশি কষ্টকর। ১৬টি দলের দায়িত্ব নেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়।’ তবে সত্যিই যদি টুর্নামেন্ট নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি, তাহলে দর্শক ভর্তি মাঠেই বিশ্বকাপ আয়োজনে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার সরকার প্রধানের কাছ থেকেও এ ধরনের বক্তব্য এসেছে এরই মধ্যে।
সূত্রঃ জাগোনিউজ