অবশেষে পুলিশ সদর দফতরে উপস্থিত হয়েছেন আলোচিত পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার। বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে তিনি পুলিশ সদর দফতরে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি পুলিশের আইজিসহ ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেন। তবে তিনি কাজে যোগ দিয়েছেন কিনা সে ব্যাপারে কোনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।খবর বাংলাট্রিবিউনের।
এদিকে পুলিশ সদর দফতরের প্রধান ফটকের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিতদের একজন কনস্টেবল হাফিজ জানান, বেলা সোয়া দুইটার দিকে এসপি বাবুল আক্তার পায়ে হেঁটে পুলিশ সদর দফতর থেকে বের হয়ে যান।
পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (মিডিয়া) একেএম শহিদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘এসপি বাবুল আক্তার কাজে যোগদান করেছেন এটাও বলা যাবে না, আবার যোগদান করেন নাই এ মুহূর্তে তাও বলা যাবে না।’
এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘এসপি বাবুল আক্তার যে আজ পুলিশ সদর দফতরে গিয়েছিলেন এটা আমার নলেজে আছে। তিনি যোগদান করেছেন কিনা জানি না তবে তার যোগদানে তো কোনও সমস্যা দেখছি না।’
এর আগে এসপি বাবুলের শ্বশুর মোশারফ হোসেন মঙ্গলবার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান,‘বাবুল কাজে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরে যোগাযোগ করেছেন।’
স্ত্রী মিতু নিহত হওয়ার পর গত ২৪ জুন রাতে বাবুল আক্তারকে পুলিশ সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। ১৬ ঘণ্টা পর তাকে ২৫ জুন সন্ধ্যায় বনশ্রীতে শ্বশুরের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। তার ৩৮ দিন পর এই প্রথম তিনি পুলিশ সদর দফতরে গেলেন। মিতু হত্যার আগেই চট্টগ্রামে থেকে তাকে বদলি করে পুলিশ সদর দফতরে ন্যস্ত করা হয়েছিল।
গত ৫ জুন রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মিতুকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে বাবুল আক্তার ও তার দুই সন্তান ঢাকায় মিতুর বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। তবে কয়েকদিন পর ২৪ জুন মধ্যরাতে হঠাৎ করে পুলিশ সদর দফতরে তাকে ডেকে নেওয়া হলে এ মামলার গতি-প্রকৃতি পরিবর্তিত হতে শুরু করে। এমনকি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এসপি বাবুল আক্তার স্ত্রী হত্যায় জড়িত থাকায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে আইজিপি মো. শহীদুল হক গত ২১ জুলাই জানান, ‘তিনি এখনও চাকরিতে বহাল আছেন।’ এর আগে দুয়েকটি গণমাধ্যমে এসপি বাবুল আক্তার গত ২০ জুন পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন বলেও খবর প্রকাশিত হয়।
তবে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার প্রসঙ্গে এতদিন চুপ করে ছিলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় বাবুল আক্তারও সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। পুরো সময়টি তিনি শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন বলে জানা গেছে।