নঈম আল ইস্পাহান:
আগের যুগ:-
সবে এলি।এখনই চলে যাবি? আবার কবে দেখা হবে জানিনা।সর্বদা ভাল থাকিস।
বর্তমান যুগ:-
খুব ব্যস্ত আছি,তাই যেতে হচ্ছে। রাতে ইনবক্সে নক করব!
আগের যুগ:-
চলে যাচ্ছিস যা।আমাকে কিন্তু ভুলবিনা। ভুললে তোর একদিন কী আমার একদিন!
বর্তমান যুগ:-
অকে,দোস্ত,কখনো ভুলবনা। তুই ও কিন্তু মাঝে মধ্যে ফেসবুকে পোক মারিস!
আগের যুগ:-
আর কটা দিন থেকে যেতে পারতিস।চলে যাওয়ার এত তাড়া কিসের?আবার কবে না কবে দেখা হয়!
বর্তমান যুগ:-
এদিকে আসলেই ফেসবুকে চেকইন দিস। আমি আনতে যাবোনে!
আগের যুগ:-
খুব মিস করব তোকে।চাচা-চাচীকে আমার সালাম জানাবি।
বর্তমান যুগ:-
বাসায় গিয়েই ভিডিও কল দিস।আঙ্কেল,আন্টিকেও কনফারেন্সে নিস!
আগের যুগ:
দোস্ত,তোদের ক্লাসের একটা মেয়েকে মনে ধরেছে।আমার হয়ে তুই নিজের ভাবী মনে করে তাকে একটু পটিয়ে দিবি?
বর্তমান যুগ:
দোস্ত,তোদের ডিপার্টমেন্টে পড়ে মেয়েটা।খুঁজ খবর নিয়ে আমাকে তার ফেসবুক আইডিটা নিয়ে দিস।বাকিটা আমি করব!
আগের যুগ:
জান,ভাল থেকো। সব সময় মনে করবা আমি তোমাকে ভাবছি।আমার বুকের মধ্যখানে তুমি।ইতি,আক্কাস!
বর্তমান যুগ:
বাবু,রিকশায় একা,একা যেতে পারবে তো?যদি ভয় পাও ইমু তে কল দিও।ডাটা চালু আছে!
আগের যুগ:
দোস্ত,তোরে বার্থডে উইশ করতে বিশ কিলো মিটার পথ পাড়ি দিয়ে চলে এলাম।কী,কী আইটেম আছে নিয়ে আয়।আর,এই নে তোর গিফট!
বর্তমান যুগ:
দোস্ত,তাড়াতাড়ি একটু ফেসবুকে ঢোক।তোরে উইশ করে স্ট্যাটাস দিছি।ট্যাগ করেছি।তোর টাইমলানে এ্যাপ্রুভ করে নে!
আগের যুগ:
পার্কে আসার সময় বাড়ি থেকে নিজ হাতে অনেকগুলো নাস্তা বানিয়ে আনবে।বউ হওয়ার আগে তোমার হাতের রান্নাটা একবার টেষ্ট করে দেখবো!
বর্তমান যুগে:
জানু,তাড়াতাড়ি রেষ্টুরেন্টে চলে আস।তোমাকে আজ অনেক,অনেক গুলো আইটেম খাওয়াব।এ মাসের টিউশনির বেতন টা পেয়েছি!