নাম
মেঘেরা জমে বর্ষা। বর্ষন নাম দিলাম তার।
শীতল কর বারিধারা ও তার বৈরী প্লাবন।
নাম দিলাম বন্ধুর বাঁকে বন্ধু। শ্রদ্ধা দিলাম।
ঝোরার উদ্ধত নিসর্গ, এবার ডাকব রংধনু।
ফিরে আসব বলেও যে এলেনা
তাই প্রতিনাম জেনে রাখ- শুকতারা।
যদি বলি রাতকেরানি? অযাচিত অনল দমিয়ে রাখ,
ওসব পরে হবে ।
দাঁড় টানা মাঝির জল কাটা সরোবর ।
আচ্ছা, চপল নামটা কেমন দেখায়?
উপাধি হিসেবে ভালো’র পর।
আমাকে কি কিছু দেয়া যায়?
আন্দাজ দিলাম, কৃষ্ণকায়া চাঁদ বা মাকাল মলাট।
নির্লিপ্ত, ডাকতে পার। তুমি পিশাচ বলেই ডাক।
লালসালু যে টাঙিয়ে দিয়েছিলাম প্রান্তর জুড়ে।
এপাশ- ওপাশ।
******************************************************************************************************************
বন্ধন
শহুরে ঝাঁকে চুপসে যায় শব্দের কোলাহল।
নিয়নের আঁচ ভেঙ্গে দেয় জাতকের ঘুম।
ঢেকে যায় সময়।
রুখে দাঁড়ায় কলহের বাঁধ।
রুক্ষ হাপর ছাপে ভেজা বালিশের কায়া।
কেটে যায় বিভোর রেখে যায় ক্লান্তির ছাঁট ।
অসম পরিসীমায় মরিচিকা বাড়িয়ে তুলে মনের চাহনি।
চিহ্নের ছলাকলায় পিচঢালা পাতালপুরি।
স্থায়ী যা তা হোক সঞ্চারি…
হারাবেনা কখনো হোকনা তা কারো কাছে।
যতদিন তর্পুল দিবে ঠাঁই ততদিনই আবছা আলো ছড়াব
পাঁজর ভেঙে বেঁকে যাবে নদী
এঁকে যাব পেখমের ঘা।