সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন‘আমরা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নানাভাবে রবীন্দ্রনাথকে ধারণ করি। আমাদের সুখে দুঃখে সংকটে তিনি প্রবলভাবে উপস্থিত সব সময়। বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় সৃজনশীল ও অনিন্দ্য সুন্দর রচনার মাধ্যমে তিনি সকল বাংলা ভাষাভাষীর হৃদয়ে গড়ে তুলেছেন সুদীপ্ত চিরস্থায়ী আসন।’
শুক্রবার সকালে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (বাংলা বিভাগ) ও ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (রবীন্দ্র চর্চা কেন্দ্র)-এর আয়োজনে রাজধানীর উত্তরা ক্লাবের লোটাস লাউঞ্জে ‘রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা ভাবনা’ শীর্ষক দু‘দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথ বলেন।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা ভাবনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা ভাবনার মূল বিষয় হলো নান্দনিকতা, মানবিকতা ও আনন্দের সঙ্গে শিক্ষালাভ। শুধু পুথিগত শিক্ষা নয়, প্রকৃত জ্ঞান অর্জনকেই তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন। আমাদের শিক্ষায় মানবিকতা, সহনশীলতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, নান্দনিকতা ও আনন্দযোগের অভাব রয়েছে।’ এ পরিস্থিতি উত্তরণে একটি সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। মননশীলতাকে সমৃদ্ধ করতে রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা ভাবনার ওপর ব্যাপক গবেষণা হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মুনমুন গঙ্গোপাধ্যায় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম আবু দায়েন।
বিষয়ভিত্তিক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ।
উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াসমিন আরা লেখার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক বরুণ কুমার চক্রবর্তী, চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ঝাংঝিং ও জাপানের হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাছাহিকো টোগাওয়া।
অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য সৈয়দ আকরাম হোসেন ও আহমদ রফিককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।