অনলাইন ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ দেশজুড়ে শাখাগুলো থেকে জমা পড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটিগুলো যাচাই-বাছাইয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গণভবনে শনিবার দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয় বলে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমাদের যে সকল জেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি, তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা জমা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের কমিটিও জমা দিয়েছে।
“আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন যেন কোনো বিতর্কিত লোক কমিটিতে না আসতে পারে। কোনো অপরাধী, কোনো ধরনের অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত কেউ যেন কোনো কমিটিতে প্রবেশ করতে না পারে।
“দীর্ঘ দিন যাবত আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত, ত্যাগী, দুর্দিনে দলের জন্য কাজ করাদের যাতে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন নেত্রী।”
এদের বাদ দিতে সব বিভাগে একটি করে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, “জেলা, মহানগর কমিটি যাচাই বাছাইয়ের জন্য একটি করে বিভাগীয় কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরের কমিটি দেখবে ঢাকা বিভাগীয় কমিটি।”
চলতি বছরের মার্চের ৯ তারিখ সর্বশেষ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী বৈঠক হয়।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজকে সাংগঠনিক আলোচনাই বেশি হয়েছে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ সারা দেশের আওয়ামী লীগের কোথাও যেন বিতর্কিত কেউ ডুকতে না পারে নেত্রী সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। আর ঢাকা মহানগর কমিটি জমা পড়লেও সেটা যাচাই বাছাইয়ের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।”
আট বিভাগে, আটটি কমিটি করা হয়েছে বলে জানান বৈঠকে আওয়ামী লীগের আরেক নেতা।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “প্রত্যেক বিভাগে দু-একজন করে সভাপতিমন্ডলীর সভাপতি থাকবেন। বিভাগীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন। আর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগেও একই থাকবে। যেহেতু সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান ও আব্দুর রাজ্জাককে আগে মহানগরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই হিসেবে এবারও এই দুজনকে ঢাকা বিভাগীয় কমিটিতে রাখা হয়েছে।”
সূত্রঃ বিডিনিউজ