অনলাইন ডেস্কঃ
৭ মার্চের ভাষণকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, অনেক বেদনার সাথে বলতে হয় যে, মহান নেতা এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য জীবনের বেশির ভাগ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন, পরাধীন জাতিকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ উপহার দিয়েছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ধ্বংস্তূপের ওপর দণ্ডায়মান একটি দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে নিরলস কাজ করেছেন; সেই অবিসংবাদিত নেতাকে এ দেশের কিছু বিশ্বাসঘাতক বাঁচতে দেয়নি।
বুধবার (১১ নভেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ অধিবেশনে আনা সাধারণ প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রভাষার জন্য কিছু করেননি। তাদের বলি ইতিহাস পড়। ২১ ফেব্রুয়ারি যখন রফিক-সালামদের হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু তখন ফরিদপুর জেলে অনশন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাকে অনশন ভাঙার জন্য বলা হয়। তিনি করেননি। পরে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
পঁচাত্তর-পরবর্তী প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করল। বিজয় দিবস-স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করত না। ইতিহাসকে চাপা দেয়া যায় না। জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি শক্তিশালী। যতদিন বাংলাদেশ ততদিন বঙ্গবন্ধু। তার শারীরিক মৃত্যু হতে পারে কিন্তু আদর্শের মৃত্যু হবে না।
আলোচনায় আরও অংশ নেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের মৃণাল কান্তি দাস, মেহের আফরোজ চুমকি, আবদুস সোবহান মিয়া, নজরুল ইসলাম বাবু, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রমুখ।
সূত্রঃ জাগোনিউজ