গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ:
টেকনাফ স্থলবন্দরে সরকারি রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য মাত্র দিন দিন বেড়েই চলছে। জুলাই মাসেই আমদানি ও রপ্তানি বেশি হওয়ায় ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৬৯ হাজার ৩০১ টাকা রাজস্ব আদায় হয়। যা বিগত অর্থবছরের মাসিক লক্ষ্য মাত্রা অতিক্রম করেছে।
বন্দর সুত্রে আরো জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের মাসিক বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা। অথচ উক্ত লক্ষ্যমাত্রা চাড়িয়ে ১ কোটি ৫২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৩০১ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। জুলাই মাসে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানিতে ১৭৬ টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে রাজস্ব আয় হয়েছে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আয় হিসাব করলে ১ কোটি ৫২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৩০১ টাকা বেশী রাজস্ব আয় হয়েছে। এদিকে বৈরী আবহাওয়া, লাগাতার বৃষ্টি থাকার সত্বেও আমদানী ও রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা আন্তরিকতা ও বন্দর সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় রাজস্ব আয়ে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে।
টেকনাফ কাস্টমস সুত্রে জানা যায়, গত জুলাই মাসে টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে ১৮ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ২৫৫ টাকা মুল্যের বিভিন্ন প্রকার নিত্য প্রযোজনীয় পণ্য মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আমদানী করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৭ কোটি ৮৯ লক্ষ ৭৯ হাজার ১২৬ টাকা মুল্যের পণ্য শুল্কযুক্ত এবং ২৭ লক্ষ ১০ হাজার ১২৯ টাকা মুল্যের পণ্য শুল্কমুক্ত। অন্যদিকে উক্ত জুলাই মাসে বাংলাদেশ থেকে ২৬টি বিভিন্ন প্রকার নিত্য প্রযোজনীয় সামগ্রীর ২৩ টি চালানে ৭৪ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪৭৭ টাকা মিয়ানমারে রপ্তানি করা হয়েছে।
কাস্টমস সুত্রে জানা যায়, বৈরী আবহাওয়া ও ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যার কারণে দীর্ঘ দিন শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে গরু আমদানি বন্ধ থাকার পর অবশেষে গত জুলাই মাসে করিডোর দিয়ে মিয়ানমার থেকে ৩৪৯টি গরু এবং ১০৪২টি মহিষ আমদাণী করা হয়েছে। এতে জুলাই মাসে প্রতিটি গরু ও মহিষ থেকে ৫০০ টাকা করে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৬৯ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনাফ স্থলবন্দরের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জানান, টেকনাফ স্থলবন্দর প্রতিষ্টিত হওয়ার পর থেকে সরকার এই বন্দর থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে। অথচ সেই পরিমাণ এই স্থলবন্দরের উন্নয়ন হয়নি। তাই আমাদের দাবি আমদানি, রপ্তানির মালামাল গুলো যেন খুব দ্রুতগতিতে চালান করতে পারি। সেই উন্নয়ন ও আধুনীকায়নে রুপান্তরিত করতে সহযোগিতা করতে হবে।