হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার :
কক্সবাজারে টানা ছয়দিনের কোলাহল ছাপিয়ে আজ থেকে মেলা প্রাঙ্গণে বইবে নিস্তব্ধতা। প্রিয় মানুষের সান্নিধ্য, সাহিত্য আড্ডা আর নতুন বইয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে একটি বছর। কারণ যে শেষ হল পাবলিক হল মিলনায়তনে শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলোর প্রকাশনা প্রতিষ্টান প্রথমরার উদ্যোগে আয়োজিত বই মেলার। সেই সাথে ভাঙল প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যদের মিলন মেলা। বিদায় বেলায় ছিল বিষন্নতার সুর। মানুষ এসেছে, বই কিনেছে। হৈ-হুল্লোড়ও হয়েছে। বন্ধু-স্বজনদের সঙ্গে আলপচারিতায় হাসিতে ফেটে পড়েছেন মেলায় আগতরা। কিন্তু সেই হাসি যেন প্রাণহীন। কারণ এভাবে আর হয়ত দেখা হবে না একসঙ্গে।
রামুর গর্জনিয়া থেকে মেলায় আসা স্কুল শিক্ষিক আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে কথা হয়। জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতি বছর বই মেলায় আসা হয়। কিন্তু প্রথমার আয়োজনে কক্সবাজারে সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত এই বই মেলার স্বাদই ছিল ভিন্ন। তবে খুব দ্রুতই মনে হয় মেলা শেষ হয়েছে। তাই খারাপ লাগছে।
এদিকে মেলার শেষ দিনেও ভাষাপ্রেমীদের সরব উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়। বিক্রিও ভালো হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রাণের মেলার একটি সফল সমাপ্তি হলো গতকাল।
কক্সবাজার নোঙরের প্রধান নির্বাহী দিদারুল আলম রাশেদ বলেন, প্রথমা বই মেলার মাধ্যমে জেলার মানুষ শান্তির পসরা খুঁজে পেয়েছে। তবে এ মেলা আগামীতেও অব্যাহত রাখা উচিত।
কক্সবাজার প্রথম আলো বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল বলেন, ছয়দিনের এ মেলা বন্ধুসভার সদস্যরা মাতিয়ে রেখেছিল। বিশেষ করে আধুনিক ভাষারীতি অনুসরণ করা প্রথমার বই নানা শিক্ষা প্রতিষ্টানে বেশি বিক্রি হয়েছে।
প্রথমা প্রকাশনের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, মেলার শেষ দিন বইপ্রেমীদের আগমনে আমরা সন্তুষ্ট। বিক্রি ভালো হচ্ছে। তবে বিক্রির চেয়ে বড় হলো এই দেশের মানুষ বইকে ভালোবাসে। আজকের আগমন তাই প্রমাণ দেয়।
প্রথম আলোর কক্সবাজার আঞ্চলিক অফিস প্রধান খ্যাতিমান সাংবাদিক আবদুল কুদ্দুস রানা বলেন, প্রথমা প্রকাশনের লেখক, বই ও কাগজ অনেক উন্নত মানের। তাই বিক্রি বেশ ভাল হয়েছে। আগামীতেও প্রথমার এ ধরণের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।