অনলাইন ডেস্কঃ
কক্সবাজারের টেকনাফের মেয়ে লাকিংমে চাকমাকে অপহরণ, বাল্যবিয়ে, ধর্মান্তর ও মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায়বিচার চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে এশিয়া ইন্ডিজেনাস পিপলস প্যাক্ট (এআইপিপি) ও ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্ক গ্রুপ ফর ইন্ডিজেনাস অ্যাফেয়ার্স (আইডব্লিউজিআইএ)।
রোববার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লাকিংমে চাকমা নামে টেকনাফের ১৪ বছরের আদিবাসী কিশোরী অপহরণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছে। অপহরণের পর লাকিংমের ওপর অনেক অত্যাচার করা হয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর মেয়েটি হত্যা কিংবা আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লাকিংমের ঘটনায় দুর্বৃত্তদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন। কোনো রাষ্ট্র এ ধরনের অপরাধকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠন দুটি জানায়, বাংলাদেশে গত বছর আদিবাসী নারীদের প্রতি সহিংসতামূলক ৫৪টি ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে ৩৫টি ঘটনা সমতলে এবং ১৯টি ঘটনা ঘটেছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। এর মধ্যে ১৮ জন ধর্ষণের শিকার এবং ১৪ জন আদিবাসী নারীকে ধর্ষণচেষ্টা, ৩ জন গণধর্ষণের শিকার, ৫ জন শারীরিক নির্যাতনের শিকার, ৪ জন হত্যার শিকার এবং ২ জন আদিবাসী নারীর ভূমি দখল করা হয়েছে। বাংলাদেশে আদিবাসী নারীদের অবস্থা খুবই ভয়াবহ পর্যায়ে, রাষ্ট্রকে অবশ্যই এ বিষয়ে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
বিবৃতিতে লাকিংমের অপহরণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, বাল্যবিবাহ, ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা বা হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, লাকিংমের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ, পিবিআই ও প্রশাসনের অবহেলার বিভাগীয় তদন্ত, লাকিংমের শিশুর নিরাপত্তা এবং যথাযথ ভরণপোষণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, লাকিংমের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, আদিবাসী নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতার সুষ্ঠু বিচারের ব্যবস্থাসহ সরকারের কাছে ৯টি আহ্বান জানায় এআইপিপি ও আইডব্লিউজিআইএ।
সূত্রঃ সমকাল