অনলাইন ডেস্কঃ
মহামারি করোনার কারণে বন্ধ করে দেওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি উঠেছে সংসদে। বুধবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের একাধিক সদস্য এ দাবি জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে লালমনিরহাট-১ আসনের মোতাহার হোসেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভার্চুয়াল ক্লাস হলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা খুব বেশি উপকৃত হতে পারছে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক।
এছাড়াও তিনি তিস্তা চুক্তির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বলেন, তিস্তা নদী তার এলাকার দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীতে পানি নেই। ভারত থেকে যে পানি আসে তা খুব সামান্য। এতে আবাদের কাজ হয় না। যত দ্রুত সম্ভব এই চুক্তি করা গেলে ওই অঞ্চলের মানুষ যথেষ্ট উপকৃত হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার একই দাবি জানান সরকারি দলের আরেক সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমান ও পর্যটন খাত। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বই। তবে করোনার শুরুতেই প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বিভিন্ন নির্দেশনা এবং কর্মসূচির কারণে অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে আরও দুইটি নতুন অত্যাধুনিক বিমান আসছে। এ বিমান দুইটি করোনা ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতা সম্পন্ন বিমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছা কক্সবাজার বিমান বন্দরকে এভিয়েশন হাব হিসেবে উন্নীত করা। সে অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরে একটি আন্তর্জাতিক টার্মিনাল তৈরির পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
সরকারি কাজেও পরিবেশ বান্ধব ইট ব্যবহার নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সরকারি দলের আনোয়ারুল আবেদিন খান। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে সংসদে পরিবেশ বান্ধব ইট ব্যবহার নিয়ে একটি আইন পাশ হয়েছিল। কিন্তু আইন পাশের পর তা যদি বাস্তবায়ন না হয় তাহলে এটি করার অর্থ কী? স্থানীয় সরকার, গণপূর্ত, শিক্ষা প্রকৌশল কোনো বিভাগই টেন্ডারে পরিবেশ বান্ধব ইট ব্যবহারের কথা উলেল্গখ করেন না। যে কারণে এই ইট ব্যবাহর হচ্ছে না। তিনি বলেন, এক কিলোমিটার রাস্তা করতে ৮৫ লাখ টাকা লাগে। কিন্তু রাস্তা করার পর ছয়মাসও রাস্তা ধরে রাখা যায় না।
অন্যদের মধ্যে সরকারি দলের সাংসদ এস এম শাহজাদা, সংরক্ষিত নারী আসনের খালেদা খানম, স্বতন্ত্র সংসদ রেজাউল করিম প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
সূত্রঃ সমকাল