সোয়েব সাঈদ, রামুঃ
“করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রামুতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে রামু উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে আলোচনা, ইপসা-আস্থা প্রকল্প ও এসিডিআই-ভোকা-র সহযোগিতায়, কবিতা আবৃতি ও সংগীতানুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
সোমবার (৮ মার্চ) রামু উপজেলা মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন-উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যন সোহেল সরওয়ার কাজল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফসানা জেসমিন পপি। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন-মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উম্মে সুরাইয়া আমিন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, এনজিওর কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে ইপসা-আস্থা প্রকল্পের উদ্যোগে সমাজের বিভিন্ন স্তরের নারী-পুরুষের অংশগ্রহনে একটি বর্নাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে-উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন সোহেল সরওয়ার কাজল বলেন- অনেক পথ আমরা পাড়ি দিয়েছি, আরো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। বাংলাদেশ প্রস্তুত আছে, এখন নারীদের নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নারীরা এগিয়ে যাবে অনেকদূর।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা বলেন- সমতা অর্জনে আমাদের মেয়েদের এখনো অনেক দুর যেতে হবে। পুরুষদেরও সহযোগীর ভুমিকায় থাকতে হবে। বেগম রোকেয়া হয়তো বেগম রোকেয়া হতে পারতেন না যদি তার স্বামী তাকে সহায়ক ভুমিকা পালন না করতেন। ফলে সবাইকে সমানভাবে ভাবতে হবে” তিনি আশা প্রকাশ করেন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অদূরেই বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যে পৌছাতে সক্ষম হবে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আফসানা জেসমিন পপি বলেন- নারীকে আরো সাহসী হতে হবে। ঘরে বাইরে সবখানে নিজের অধিকার নিয়ে স্বোচ্চার হতে হবে। বাল্য বিবাহ বন্ধে নারীদেরই বেশী ভুমিকা রাখতে হবে।
এতে আস্থা প্রকল্পের কেইস ম্যানেজার পপি আক্তার বলেন- তিনি নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্টোরাল সেবা নিয়ে কাজ আর সেটা করতে গিয়ে অনেক মর্মান্তিক ঘটনার কথা জানতে পারেন। নারী নির্যাতন নির্মূল না করতে পারলে নারীরা পিছিয়ে থাকবে। বাল্যবিবাহ আর বহুবিবাহ নারী নির্যাতনের অন্যতম দুটি কারণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।